পৌঁছানোর

ব্যুরো নিউজ, ৭ নভেম্বর: পাখিরালয়ে পৌঁছানোর রাস্তার বেহাল দশা| তবুও চুপ প্রশাসন

ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ‘ঝিল্লি পাখিরালয়’।  কেন্দুয়ানাচক থেকে সেই ঝিল্লি পাখিরালয় যাওয়ার ৭ কিলোমিটারের পিচ রাস্তার দশা কার্যত বেহাল। পর্যটন কেন্দ্রে পৌছুতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে পর্যটকদের।  গত বছরের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলপাহাড়িতে এসে সার্কিট ট্যুরিজ়ম গঠন করার কথা বলেছেন। অথচ গোপীবল্লভপুরে পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছতে নাকাল হচ্ছেন পর্যটকরা। বেহাল ওই রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলছে পর্যটন সংস্থাগুলি।

গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের ঝাড়খণ্ড সীমানার প্রত্যন্ত এলাকায় রয়েছে এই পর্যটনকেন্দ্রটি। চারিদিকে শাল গাছের জঙ্গল দিয়ে ঘেরা অপরূপ এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়। গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের সাতমা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দুয়ানাচক থেকে ৭ কিলোমিটারের দূরত্বে এই পাখিরালয়। গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রটি সাজানোর উদ্যোগ করেছিল ব্লক প্রশাসন। পর্যটকদের থাকার জন্য অতিথি নিবাসও তৈরি করা হয়েছে। দুটি ঘরে মোট চারজনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ওই নিবাসে।

গঙ্গারামপুর ঠেঙ্গাপাড়াতে সিপিআইএমের পথ অবরোধ

প্রসঙ্গত, এই পর্যটন কেন্দ্রের ১৫০ বিঘা জলাশয়ে প্রতি বছরই বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসে।  এই জলাশয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। জঙ্গল ঘেরা এই পর্যটন কেন্দ্রে বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন। গোপীবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে পর্যটন কেন্দ্রটি দেখভাল করা হয়। প্রতিটি অতিথি নিবাসের প্রতিদিনের ভাড়া দু’হাজার টাকা করে। ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তাঁবু চালু করা হয়েছে।

পুজোর ছুটিতে ঝিল্লি পাখিরালয়ে বেড়াতে আসা এক পর্যটক দেবলীনা দাস বলেন, “এত সুন্দর পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের প্রয়োজন”। ব্লকের তরফ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলায় জানানো হয়েছে। ঝাড়গ্রামের জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অনেক টাকা প্রায়োজন। সেই টাকার বরাদ্দ আজও মেলেনি”। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর