মুখ্যমন্ত্রীর

ব্যুরো নিউজ, ৭ নভেম্বর: ED-র হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য! রেশন দুর্নীতির পর ধান দুর্নীতি!

রেশন বন্টন দুর্নীতির পর সামনে আসতে চলেছে ধান দুর্নীতি! আদালতে পেশ করা ED-র রিমান্ড লেটার থেকে এমনটাই তথ্য উঠে আসছে।

বিজয়া সম্মিলনী উৎসবের উৎযাপনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ইডি হেফাজতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার আরও এক দুর্নীতির মামলার দিকে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইডি। রেশন বন্টন দুর্নীতির পর এবার ধান দুর্নীতি!

ধান কেনার নামে তছরুপ হয়েছে সরকারি টাকা। ভুয়ো চাষিদের নামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। এমনটাই অনুমান ইডির। ফলে এবার আরও চাপে পড়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই উঠে এসেছে ধান কেনায় দুর্নীতির কথা। এমনটাই জানিয়েছে ইডি। যখন জ্যেতিপ্রিয়কে আদালতে তোলা হয় তখন ইডি তাঁদের রিমান্ড লেটারে সেই তথ্য দিয়েছে। ধানচাষীদের কাছ থেকে সরকারি দামে ধান কেনে কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলি। সেই ধানের দাম চাষিদের সরাসরি অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইডি তদন্ত করে দেখেছে, ধান কেনার ক্ষেত্রে সরকার ও কোঅপারেটিভ সোসাইটিগুলির মধ্যে চলে আসছে কোনও না কোনও এজেন্ট। মিল মালিকরা ওইসব এজেন্টদের মাধ্যমে সরকারি রেটের থেকে কম দামে ধান কিনে নিত। ওই ধান কেনার জন্য খাতায় কলমে কারচুপি করা হতো বলেও জানা হাচ্ছে।

প্রসেস কিভাবে হত?

ওইসব এজেন্টরা কিছু চাষিদের জোগাড় করতো। তাদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতো। সমবায় সমিতির খাতায় ওইসব চাষিদের দেখানো হতো। তাদের নামে ধান কেনা হতো। এভাবে ধান কিনলে মিল মালিকদের প্রতি কুইন্টালে ২০০ টাকা লাভ থাকত। ওই  লাভের টাকায় মিল মালিক ছাড়াও এজেন্ট ও সরকারি আধিকারিকরা এমনকি মন্ত্রীরাও লাভবান হয়েছে বলে অনুমান ইডির।

এই নিয়ে জ্যোতিপ্রিয়কে জিজ্ঞাসবাদ করেছে ইডি। জ্যোতিপ্রিয় ইডিকে জানিয়েছেন, তাঁর আমলে বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছিল। তিনি সিআইডিকে দিয়ে তদন্তও করিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তদন্তের অগ্রগতি কী তা তিনি বলতে পারেননি। এই তথ্য সামনে আসার পর আরও একটি মামলা অর্থাৎ ধান দুর্নীতি মামলা করতে চলেছে ইডি। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর