বিধানসভা

 ব্যুরো নিউজ, ৩ নভেম্বর: ‘মুখ্যমন্ত্রীর অপদার্থতার কারনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি হয়েছে’

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। “মুখ্যমন্ত্রীর অপদার্থতার কারনে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি হয়েছে ও ভেঙে পরেছে।’ এমনটাই কটাক্ষ শুভেন্দুর।

বাঁশদ্রোনিতে শান্তনু ভট্টাচার্যের ফ্ল্যাটে ইডির হানা

‘পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাটাই দুর্নীতি গ্রস্থ। তার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পরেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে বেশকিছু সরকারী আধিকারিকও যুক্ত আছে।’ এরই সঙ্গে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও মমতা সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালে কিছু কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করা হচ্ছে না। এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেফার করা যাবে না। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও ভেঙে পরা মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অপদার্থতার কারনে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সিরিয়াসলি দফতরটা দেখেন না। দুর্নীতি প্রশ্রয় দিয়েছেন। হাসপাতাল গুলতে দালালরাজ ভরে গেছে। এমনটাই অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এর আগেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্য বিভাগে দুর্নীতি ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে সরব হয়েছিলেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন এই বিষয়ে। কটাক্ষ করে তিনি বলেন,

‘ভোটের আগে বলেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী হল বিশ্ব মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা। বেসরকারি হাসপাতালে কার্ড গ্রহণ করতেই হবে, না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল। ভোট শেষ, দেখলেন ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’! অমনি নির্দেশিকা বদল, এবার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিলে সেই হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে!’

শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেন, এই রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল এমন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীরও চিকিৎসা হয় না! সাধারণ মানুষের ভাগ্যে তো এই দুর্গতি সামান্য।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেফার করা যাবে না বা করলেও কোন পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রেফার করলেন তার কারণ দর্শাতে হবে। এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরেই স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়।

স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে নয়া নির্দেশিকা: সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে না। তবে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ মিলবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে। শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো না থাকলে তবেই বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে।

এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, নিয়োগ ও রেশন দুর্নীতির মত আগামি দিনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতিও একটা বড় ইস্যু হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন, যে পশ্চিমবাংলার ১০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সেই প্রতিশ্রুতি যেনও মুখ্যমন্ত্রী রাখেন।

পাশাপাশি সাধারনের হয়ে এও দাবি জানান, যে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত পশ্চিমবাংলার কেন চালু হবে না? ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর