নাচ

রাজীব ঘোষ, ২০ অক্টোবর: ঢাকের বাজনা, ধুনুচি নাচ, শারদোৎসবে মাতল লন্ডন

পুজোর শুরুতেই প্রথা অনুযায়ী ঢাক বাজনা সহকারে বাংলায় যে কলা বউ স্নান করানোর রীতি রয়েছে, সেই একই নিয়ম পালন হচ্ছে বাংলা থেকে বহু যোজন দূরে লন্ডনে। আর এই জায়গাতেই শারদ উৎসবে মিলে যাচ্ছে গঙ্গা আর টেমস। পুজোর রীতি অনুযায়ী গঙ্গা নদীতে যেমন কলা বউ স্নান করাতে দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেইভাবেই লন্ডনে শারদ উৎসবে কলাবউ স্নান করানো হচ্ছে টেমস নদীর জলে। বিশ্বজুড়ে যেখানেই বাঙালিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন, সেখানে শারদ উৎসব এক আলাদা মুহূর্ত নিয়ে আসে।

৮৭ তম বর্ষে পদার্পণ কাঁকুড়গাছি মিতালি সংঘের পুজোর

সারা বছর ধরেই আপামর বাঙালি অপেক্ষা করে থাকেন, কবে আসবে দুর্গাপুজো। আর তাই দুর্গাপুজো এলেই বাংলার সঙ্গে লন্ডন, কানাডা, ব্রিটেন,  ও মার্কিন মুলক থেকে শুরু করে বিশ্বের যে জায়গাতেই বাঙালিরা আছেন, পুজোর সময় সকলেই এই কটা দিন এক সঙ্গে মায়ের আরাধনায় একত্রিত হন। যেভাবে বাংলায় শারদ উৎসবে পূজোর সমস্ত নিয়মকানুন মেনে মায়ের পূজো করা হয়, ঠিক একইভাবে লন্ডনেও দুর্গা পুজোয়

লন্ডনের শারদ উৎসবে ইউ বি সিক্স, নাইন কিউ এন এর গ্রীনফোর্ড হলে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। লন্ডনের দুর্গাপুজোয় টেরাকোটার মন্ডপ, চন্দননগরের আলো, টেমসের জলে নবপত্রিকা স্নান, ঢাকের লড়াই, ধুনুচি নাচ, ভোগ, সমস্ত কিছুই রয়েছে। লন্ডনের দুর্গা পুজোতেও চন্দননগরের বিখ্যাত আলোর সেই আলোকসজ্জা দেখতে পাওয়া যাবে। টেরাকোটার মন্ডপ সেজে উঠেছে লন্ডনের পুজোয়।

মা দুর্গা ষষ্ঠী থেকে দশমী সেখানেই অধিষ্ঠান করবেন। লন্ডনে বাংলার মতো পবিত্র গঙ্গা নদীর জল নেই। কিন্তু সেখানে রয়েছে টেমস নদী। তাই নবপত্রিকা স্নান সেই টেমস নদীতেই হবে। অষ্টমীতে পুজোর অঞ্জলি, সন্ধ্যেবেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কি নেই সেই তালিকায়– নাচ গানের পাশাপাশি কুইজ, গানের লড়াই থেকে শুরু করে বহু সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন রয়েছে। ঢাকের বাজনা, ধুনুচি নাচ। আর পুজো মানেই তো জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। তাই লন্ডনের দুর্গাপুজোতেও পাঁচ দিন ধরে এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। দুই বেলাই ভোগের ব্যবস্থা থাকছে। আর খাওয়া দাওয়ার কথা বললে তো লন্ডনের মাটিতে বসেই পাবেন বাংলার পরিবেশের সমস্ত খাদ্যের স্বাদ। ঝালমুড়ি, ফুচকার স্টল থেকে শুরু করে চপ, কাটলেট, বিরিয়ানি, সমস্ত কিছুই পাওয়া যাবে সেখানে। এভাবেই দুর্গাপুজো একটু একটু করে এগিয়ে যাবে দশমী তিথির দিকে।

মন খারাপ করে দিয়ে মা আবার চলে যাবেন। আসবেন ফিরে এক বছর পর। দশমী তিথিতে লন্ডনেও পান মিষ্টি দিয়ে সিঁদুর পরিয়ে কানে কানে বলা, আবার এসো মা। সেখানেও একইভাবে মহিলারা একে অপরের সিঁথি রাঙিয়ে মিষ্টিমুখ করে একসঙ্গে বলে উঠবেন, আসছে বছর আবার হবে। আর এভাবেই লন্ডনেও শারদ উৎসবে মেতে উঠছে আপামর বাঙালিরা। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর