কানাডার

রাজীব ঘোষ, ২০ অক্টোবর: কানাডার মাটিতে দুর্গাপুজো | একত্রিত বাঙালিরা

দেশ থেকে বহু বহু যোজন দূরে বিদেশের মাটিতে রয়েছেন যে সমস্ত বাঙালিরা, দুর্গাপূজা আসলেই তারা সকলে মিলে সেখানেই একত্রিত হন। বহু দূরে থাকলেও দুর্গাপূজা আসার আনন্দে প্রতিটা বাঙালির কানাডার মাটিতে দাঁড়িয়েও আনন্দে মন উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি।

বার্ধক্য ভাতার টাকায় ইচ্ছাপূরণ | দুর্গামূর্তি বানিয়ে চমক দিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ

দেশের বাঙালিরা যেখানে নিয়ম মেনে দীর্ঘ সময় ধরে শারদীয়া দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, ঠিক একই ভাবে বিদেশে কানাডার কিংস্টন শহরেও হৈ হৈ করে পুজোর আয়োজন শুরু হয়ে যায়। কানাডার কিংস্টন দুর্গাপূজা কমিটি করেই শুরু হয়ে গিয়েছিল দুর্গা পুজো। পুজোর হল বুকিং, চাঁদা কালেকশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার প্রস্তুতি, সবকিছুই কানাডার কিংস্টন শহরের বাঙালিরা একত্রিত হয়ে করে থাকেন।

বাংলার কুমোরটুলি থেকে দুই থেকে তিন সপ্তাহের প্রস্তুতিতেই আকাশপথে মা দুর্গার প্রতিমা কিংস্টনে নিয়ে গিয়ে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল। বাঙালিদের আশাতীত সাহায্য ও সমর্থন ছিল সেই দুর্গাপুজোয়। উদ্যোক্তাদের কথায়, এই পুজোর সব থেকে বড় প্রাপ্তি হলো কানাডার কিংস্টনের সকল বাঙালিকে একত্রিত করা। গত এক বছরের মধ্যে সরস্বতী পুজো, নববর্ষ, বার্ষিক পিকনিকের মতো বহু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তবে পাঁচ দিন ধরে বিদেশে বহু সময় পুজোর আয়োজন করা সম্ভব হয় না। তাই স্পায়ার নামে একটি একদিনের জন্য কমিউনিটি হলে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে আগুন জ্বালিয়ে যজ্ঞ করার অনুমতি নেই। কিন্তু প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। কিংস্টন দুর্গাপূজা কমিটির প্রথম পূজা বার্ষিকী মহালয়ার দিন প্রকাশিত হয়েছে। দুর্গাপূজার বিশেষ আকর্ষণ গত বছরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এখানকার কলাকুশলীরা মহিষাসুরমর্দিনীর নস্টালজিয়াকে এক নৃত্যনাট্যের রূপে পরিবেশন করেছিলেন।
কিংস্টন দুর্গাপূজা কমিটির উদ্যোক্তাদের কথায়, আমরা চাই, এখানে মানুষ দুর্গাপূজায় অংশ নিন। তাই ১৫ কানাডিয়ান ডলারের রেজিস্ট্রেশন ফি ধার্য করা হয়েছে। সারাদিনের পুজো এবং সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ফি যারা দিচ্ছেন, তারা দুই বেলা নিরামিষ ভোজের সুযোগ পাচ্ছেন। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর