ব্যুরো নিউজ, ১৮ অক্টোবর: ২২৯ বছরে পদার্পণ হুগলীর পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজোর
ছিলেন সেবাইত, হয়ে গেলেন জমিদার। বর্ধমান জেলার মহারাজা জনার্দন মন্দিরের সেবাইত থেকে জমিদারে রূপান্তরিত হোল পাঠক পরিবার। বর্ধমান মহারাজা খুশি হয়ে হুগলীর তালচিনান গ্রামের জমিদারি সত্ত দেন পাঠকদের। দশ হাজার বিঘা খাস জমি নিয়ে শুরু হয় তাদের জমিদারি। কৃষ্ণকান্ত পাঠক হয়ে যান তালচিনান গ্রামের জমিদার। এখান থেকে শুরু পাঠক পরিবারের জমিদারি। তারপর সেই জমিদারি বাড়তে থাকে।
পুজোর ৪ দিন বিকেলে বন্ধ থাকবে টোটো চলাচল
শুধু তালচিনান নয়, চাঁদপুর, মহেশপুর, মৌজার মালিক হয়ে যান কৃষ্ণকান্ত পাঠক। ২২৯ বছরে পড়লো হুগলীর পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজো। একসময় সন্ধি পূজোর আগে শূন্যে গুলি ছুড়ে শুরু হতো সন্ধিপুজোর ক্ষণ। এখন হয় লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক দিয়ে গুলি ছুরে।
বর্ধমানের রাজার বাড়ির জনার্দনের সেবা করে জমিদারি পেয়েছেন। তাই জনার্দনের পাঠক পরিবারের কুলদেবতা। জমিদারির পাশাপাশি জনার্দনের মন্দির তৈরি করেন পাঠক পরিবার। এখনো পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। পশুর জায়গায় বলি হয় ফলের। এই সময় পাঠক বাড়ি খালি থাকলেও পুজোর সময় কিন্তু বেশ ভির হয়। গমগম করে আত্মিয় পরিজনে। বিরাট জমিদারিতে বিরাজ করেন একা মা দুর্গা। পুজো শুরুর দিন থেকে আজ পর্যন্ত কাঠামোতে কোন পরিবর্তন হয়নি।
পুজোর ৪ দিন পাঠক বাড়িতে চলে বিরাট ভুরিভোজ। সপ্তমিতে বাড়ির সকল পরিবার, অষ্টমীতে বাড়ির মহিলারা, নবমিতে গ্রামের লোকজন আসেন নেমন্ত্রনে। দশমিতে সবার জন্যে খোলা থাকে পাঠক বাড়ির দুয়ার। খাবারে থাকে লুচি, বোঁদে সহ আরও অনেক কিছু। এরপর প্রতিমা বরন, সিন্দুর খেলা সম্পন্ন করে বিসর্জনের পথে গ্রামের মানুষের কাঁধে ভর করে এগিয়ে চলে মা দুর্গা। গোটা গ্রামের মধ্যে আগে বিসর্জন হয় পাঠক বাড়ির প্রতিমার।তারপর গোটা গ্রামের প্রতিমার বিসর্জন হয়। আজো এই গ্রামে চলে আসছে এই নিয়ম নীতি মেনেই দুর্গা আরাধনা। ইভিএম নিউজ