ব্যুরো নিউজ, ১ অক্টোবর: ডেঙ্গু রুখতে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নরাজ্যজুড়ে ডেঙ্গু সতর্কতা। ডেঙ্গু সংক্রমণ রুখতে কতোটা সচেতন বর্ধমান পুরসভা? তা নিয়ে প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের। ড্রেনে, রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। বৃষ্টির জেরে জমে রয়েছে নোংরা জল। যা পরিষ্কার করা হয় না সময়মতো। যেখানে জন্মাচ্ছে ডেঙ্গুর মশা। ফলে এই অভিযোগ তুলে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধী মহল। ডেঙ্গুর বলি এক তরুণী
বর্ধমান জেলায় এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৭৫০ জনেরও বেশী। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, বর্ধমান পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত নগন্য। এদিকে পুরসভার পক্ষ থেকে দাবি, "প্রত্যেকটি মানুষকে ডেঙ্গু সম্বন্ধে সচেতন করতে, ডেঙ্গু সংক্রমণ রুখতে শহরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে, প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশিস পুরসভার পক্ষ থেকে শহরের ড্রেন গুলিতে প্রায় সাড়ে ছ’হাজার গাপ্পি মাছের চারা ছাড়া হয়েছে, যাতে ডেঙ্গুর লার্ভা নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি নিয়মিত এলাকায় স্প্রে করার পাশাপাশি ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কাজ চালানো হচ্ছে"।
কিন্তু বর্ধমান শহরের ছবিটা খানিকটা অন্যরকম। রেল স্টেশন সংলগ্ন জিটিরোড-সহ বিভিন্ন রাস্তায় ধারে পড়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা। এলাকার বিভিন্ন জায়গার নর্দমাগুলি নোংরায় বন্ধ হয়ে রয়েছে। পুরসভার সাফাই কর্মী থাকলেও প্রত্যেকদিন পরিষ্কার হচ্ছে না এলাকা ঝোপঝাড়-জঙ্গল। হচ্ছে না রাসায়নিক স্প্রে। এতে ডেঙ্গু সংক্রমণ বারছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্ধমান পুরসভার উদাসীনতার অভিযোগ তুলে বিজেপির জেলা মুখপাত্র ড: সৌমরাজ ব্যানার্জী বলেন, " ডেঙ্গু নিয়ে বর্ধমান পুরসভা যে সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে তা শুধু প্রচারেই সীমাবদ্ধ। শহরের যত্রতত্র আবর্জনা। রাজ্যে যেভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেড়ে চলেছে, তাতে পুরসভা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বর্ধমান শহরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে বেশী সময় লাগবে না"। ইভিএম নিউজ
