রাজীব ঘোষ, ৩০ আগস্ট: ঘরে বসেই এক্সট্রা ইনকাম। চাকরির পাশাপাশি ঘরে বসেই এক্সট্রা ইনকাম করতে পারেন আপনিও। বর্তমানে বাজারে যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে সাধারণ কোনও ছোটখাটো চাকরি বা ছোট ব্যবসা করে সংসার টেনে নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট কষ্টকর।
মোটা মুনাফা পেতে কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
দেশজুড়ে অধিকাংশ মানুষ বিভিন্ন প্রাইভেট সংস্থায় যে ধরনের চাকরি করেন তাতে মাস গেলে ন্যায্য বেতন বহু সময় দেওয়া হয় না। বঞ্চিত হন তারা। একাধিকবার দেশে বিভিন্ন কমিটির তরফে নূন্যতম মজুরি বৃদ্ধি করার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার কোনও চিহ্নমাত্র দেখা যায়নি। ফলে সাধারণ মানুষের কষ্ট যেরকম ছিল সেরকমই আছে। কিন্তু বেঁচে তো থাকতে হবে। তাই লড়াই করেও যেতে হবে। সেই কারণেই বর্তমান চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকাম করার জন্য (Extra Income from Home) সকলেই চেষ্টা করেন। এই প্রতিবেদনে এরকম ধরনেরই কয়েকটি অতিরিক্ত আয়ের পথ সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো। যে কাজগুলি চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি করতে পারবেন। আর এর থেকে একটা ভালো টাকা উপার্জন করা যাবে।
এরকমই কয়েকটি ঘরে বসে অনলাইনে এক্সট্রা ইনকামের দিকনির্দেশ দেওয়া হল (Online Earn from Home)
ব্যবসার জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিচ্ছে সরকার
কপি রাইটিং (Copy Writing)
যদি লেখালেখির দক্ষতা থাকে, সৃজনশীল লেখা লিখতে পারেন, তাহলে অনলাইনে কপিরাইটিংয়ের কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করে টাকা উপার্জন করা যায়। এই মুহূর্তে নিউজ কপিরাইটিং, রিসার্চ কপি, বিজ্ঞানমূলক কপি, পড়াশোনার জন্য অনুশীলনমূলক যে কোনো বিষয়ে কপির ইদানিং যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। কোনও প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে লেখালেখি করে যথেষ্ট ভালো উপার্জন করা যেতে পারে। কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতে বসেই অনলাইনে শুধু মাত্র মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও কনটেন্ট লিখতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল মেকিং (YouTube Channel Making)
এটা আর এখন নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বাচ্চা থেকে বুড়ো মোবাইল ফোনে মুখ গুঁজে রয়েছে সারাদিন। খোঁজ করলেই দেখা যাবে ইউটিউবে গিয়ে কোনও না কোনও ভিডিও সে দেখছে। ফলে দিনের পর দিন youtube চ্যানেলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বর্তমানে অনেকেই ইউটিউবার হিসেবে কেরিয়ার গড়তে চাইছে। তবে হ্যাঁ, youtube চ্যানেল তৈরি করে নিয়মিত কনটেন্ট দিয়ে যেতে হবে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। যেহেতু প্রতিযোগিতা বাড়ছে, ফলে ভিডিও, অডিও, লাইট-সহ টেকনিকাল বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। আর যে বিষয়ের ওপরে দক্ষ সেই বিষয়ের উপরেই ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। আর সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিও ভিউয়ারের সংখ্যা বাড়লে ইউটিউব মোটা অংকের টাকা পেমেন্ট করবে।
ফ্রিল্যান্সিং জব (Freelancing Job)
নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে কোনো জায়গায় বাধাধরা কাজ নয়, নিজে যে বিষয়টির উপরে দক্ষ সেই বিষয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন। অনলাইনে এই মুহূর্তে বিভিন্ন ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে। ফটোগ্রাফি, ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, মেকআপ আর্টিস্ট, ডিজাইনার, গ্রাফিক ডিজাইনার, ওয়েব ডিজাইনার থেকে শুরু করে বহু কাজ রয়েছে যা ফ্রিল্যান্সিং ভাবে কাজ করে উপার্জন করা যায়। তবে যদি একটু ট্রেনিং নিয়ে নিতে পারেন তাহলে দক্ষতা বাড়বে। কাজ পেতেও সুবিধা হবে। অনলাইনে সার্চ করলেই এই ধরনের কাজের বহু ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।
অনলাইন টিচিং কোর্স (Online Teaching Course)
স্কুল কলেজের প্রথাগত পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ভোকেশনাল কোর্স বর্তমানে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যেমন স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট বিষয়ে অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন, তেমনি স্পোকেন ইংলিশ, গান, নাচ, গিটার, বাদ্যযন্ত্র, যোগা, এক্সারসাইজ, ফিটনেস ট্রেনিং, এই সমস্ত বিষয়ের উপরে অনলাইন কোর্স ভিডিও তৈরি করে তা নিয়মিত ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার, instagram সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে হবে। এর ফলে প্রচুর সংখ্যক ভিউয়ার্স এর কাছে পৌঁছবে। তার ফলে একদিকে যেমন ট্রেনিং নিতে আসবেন আগ্রহীরা, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ার্স বাড়ার কারণেও ইনকাম শুরু হবে। ইভিএম নিউজ