ব্যুরো নিউজ: চাঁদের পর ‘মিশন SUN’। চন্দ্রযান মিশনের সফল ভারতীয় মহাকাশ যান গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লেন্ডার বিক্রমকে সফট ল্যান্ডিং করিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিশ্বে। ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ যারা কিনা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান পাঠিয়েছে। চাঁদের পর এবার সূর্য হল ইসরোর পরবর্তী মিশন। সব ঠিকঠাক থাকলে ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৩ শ্রী হরিকোটার সতীশ ভবন স্পেস সেন্টার থেকে সূর্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে আদিত্য L1। পুলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেক্যালেস বা PSLV রকেটে চেপে রওনা দেবে আদিত্য। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে একটি LAGRANGE পয়েন্ট সেখানেই অবস্থান করবে আদিত্য L1। পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝের একটি অংশ হ্যালো কক্ষপথের lagrage পয়েন্টে রাখা হবে আদিত্যকে।
LAGRANGE পয়েন্ট কি?
ল্যাগরেজ পয়েন্ট হলো মহাকাশের এমন একটি জায়গা যেখানে সূর্য এবং পৃথিবীর মতো দুটি বিশাল ভর যুক্ত জিনিসের মাধ্যাকর্ষন টানের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে মহাকাশযানের মত ছোট কোনও বস্তু। মহাকাশ গবেষণায় এই পয়েন্ট গুলির আছে বিশেষ ভূমিকা। গবেষণার সুবিধার্থে বিজ্ঞানীরা সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ LAGRANGE পয়েন্ট হিসাবে L1 চিহ্নিত করেছে। এবং পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ lagrage পয়েন্ট L2 কে চিহ্নিত করেছে। যেটি পৃথিবীর বিপরীত দিকে চাঁদের সঙ্গে একটি সরলরেখায় অবস্থিত। এই বিন্দুগুলি ব্যবহার করলে মহাকাশযানের জন্য খরচ হয় ন্যূনতম জ্বালানি। তাই মহাকাশ গবেষণায় এই বিন্দু গুলির খুবই গুরুত্ব রয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে সম্পূর্ণ আকারে দেখা যায়।
আদিত্য L1 কি কি কাজ করবে ?
আদিত্য L1-এ রয়েছে মোট সাতটি পেলোর্ড। সেগুলি সূর্যের উপর বায়ুমন্ডলীয় গতিবিদ্যার সম্পর্কে তথ্য খুঁজে বের করবে, সূর্যের করোনা ও পৃষ্ঠদেশ পরীক্ষা করবে। সৌর ঝড় পৃথিবীর উপর কি কি প্রভাব ফেলতে পারে তা জানার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি সূর্য থেকে কণার গতি নিয়েও ডেটা সংগ্রহ করবে। ক্যামেরার মাধ্যমে সূর্যের সবচেয়ে কাছের ছবি তোলা হবে।
সূর্যকে ঘিরে একাধিক রহস্য উন্মোচন করবে আদিত্য L1 এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানী থেকে গবেষকরা। ইভিএম নিউজ