ব্যুরো নিউজ : চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে রানীগঞ্জের সানি। এবার খনির শহর রানীগঞ্জের মুখ উজ্জ্বল করলেন সানি মিত্র।  চন্দ্রযান ৩- এর সাফল্যের অন্যতম ভাগীদার রানীগঞ্জের সানি। বিশ্বজুড়ে সারা ফেলা চন্দ্রযান ৩-এর ইঞ্জিনের দায়িত্বে ছিলেন এই যুব বিজ্ঞানী ।

বুধবার চন্দ্রযান -৩ এর টানটান উত্তেজনাময় অবতরণের পর  সকলের মতই আনন্দ-উচ্ছাসে মেতে উঠেছে  রানীগঞ্জের ডালপট্টি মোর এলাকার ছোটে লাল মারোয়াড়ি লেন অঞ্চলের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী শংকর মিত্র ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের পাড়া-প্রতিবেশীরা। মেধাবী ছেলে সানি মিত্রর সফলতা দেখে আপ্লুত খনি অঞ্চলের মানুষ।

২০১৯ সালের ২২ শে জুলাই চন্দ্রজান ২ অভিযানের ব্যর্থতার বিষয়টিকে মাথায় রেখে, চার বছর আগেই চন্দ্রযান -৩ এর  অভিযান শুরু হয়ে যায়।  টানা পরিশ্রম করে দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর ইসরোর বিশেষ গবেষক দল চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্ধকার অংশের রহস্য উদঘাটনের জন্য গত ১৪ই জুলাই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ করেন।  তারপর দীর্ঘ একটা প্রতীক্ষার পর বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশ গুলির মধ্যে সবথেকে কম ব্যয় করে সফল মহাকাশ অভিযান সম্পূর্ণ করল ভারতের ইসরো রিসার্চ সেন্টার।

ভারতের চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের জন্য গবেষকদের মধ্যে ছিল চরম সতর্কতা। নজর ছিল প্রতি মুহূর্তের গতিবিধির ওপর। ২০১৯ এর ব্যর্থতার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন বিজ্ঞানীরা ।

যখন কয়েকগুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে রাশিয়ার চন্দ্র অভিযান বিফল হয়, সেখানে টানটান উত্তেজনায় বুধবার বিকেল ছটা বেজে চার মিনিট নাগাদ চাঁদের মাটিতে সফলভাবে পা রাখে চন্দ্রযান -৩ এর বিশেষ এই যানটি

রানীগঞ্জের সানির ঠাকুমা বিছানায় শয্যাশায়ী থেকেও নাতির সফলতায়  উচ্ছ্বসিত। একইভাবেই ছেলের এই সফলতা দেখে নিজেদের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না সানির বাবা-মা দুজনেই । খুশি বাড়ির পরিচালিকাও। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর