ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ৯ অগাস্টঃ (Latest News) রসগোল্লা, সীতাভোগ, মিহিদানার পর এবার জিআই তকমা পেতে চলেছে বাংলার মেচা সন্দেশ।বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই সন্দেশ পেতে চলেছে এবার জিআই তকমা। শুধু বাঁকুড়া নয়, বাংলা জুড়েই বিখ্যাত এই সন্দেশ। কোনও দুধ ও ছানা ছাড়াই তৈরি হয় মেচা সন্দেশ। এই সন্দেশই এবার পেতে চলেছে জিআই ট্যাগ।
দেখতে অনেকটা মাটির ঢেলার মত। আর উপরে কাজু কিসমিস দিয়ে ঢ্যাঁশা। পাশাপাশি সন্দেশগুলি টাটকাও থাকে অনেকদিনও। তবে জেনে নিন এর উৎপত্তিস্থল কোথায়? বাঁকুড়ার রাজ্য সড়কের ওপর বড়জোড়া বেলিয়াতোরে এর আঁতুড় ঘর। আর সেখানে রয়েছে মোট ২০ টি মেচা ব্যবসায়ীর পরিবার।
এই প্রসঙ্গে প্রস্তুতকারক বলেন, জিআইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ধাপ তারা পেরিয়ে গিয়েছি। এরপর দ্বিতীয় ধাপের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সংক্রান্ত জরুরি কাগজপত্র কলকাতা অফিসেও জমা দিয়েছি। এবার জিআই তকমা পেলেই বাংলা সহ ভিনরাজ্যে ও পাড়ি দেবে এই মেচা।
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বিখ্যাত সন্দেশ বলতেই প্রথম যে নাম মুখে আসে সবার, তা হল মেচা সন্দেশ। এই সন্দেশের খ্যাতির পিছনে একাধিক কারণও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জিআই বা জিয়োগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ দেওয়া হয় সেই দ্রব্যকেই যার একটি নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থল রয়েছে। একইসঙ্গে ওই স্থান আদি উৎপত্তিস্থল হওয়ায় বিশেষ স্বাদের দিক থেকেও বিশেষত্ব রয়েছে দ্রব্যটির। এই স্বাদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না অন্য জায়গায় তৈরি মিষ্টির স্বাদ।
তবে মেচা সন্দেশ জিআই ট্যাগ পেলে কি কি কী সুবিধা হতে পারে? এই প্রসঙ্গে মিষ্টি প্রস্তুতকারক জানান, দেশের বাইরে থেকে অনেকেই মেচা সন্দেশ খাওয়ার জন্য অর্ডার দেন। জিআই তকমা জুটলে দেশের বাইরে সহজে মিষ্টি পাঠানো যাবে। তাছাড়া, এই মিষ্টির সঙ্গে বেলিয়াতোড়ের নামটাও জুড়ে থাকবে চিরকালের মতো। (EVM News)