শ্রাবনী দাশগুপ্ত, ১১ মেঃ রাজ্যে কেরলা স্টোরি চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতেই ক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করে। তার প্রতিফলন হল বুধবার। রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে শামিল হলেন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা। প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিধায়ক আনন্দময় বর্মন। তার কথায়, রাজ্যের শাসকদল ভয় পেয়েছে। তবে কেরালা স্টোরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে লাভ হবে না। এরপর বেঙ্গল স্টোরি আসবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

মূলত এই ছবি নিয়ে অভিযোগ, ছবিটির ট্রেলরে দেখানো হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে নিয়ে সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে আইএসআই-র (ISIS) প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আর তার ফলস্বরূপ, সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’বিকৃত তথ্য দিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে।’ এরপরেই ‘দ্য কেরালা স্টোরিকে’ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, এর আগে এই ছবির মুক্তি আটকাতে কেরল সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল, কংগ্রেস। কংগ্রসের কথায়, এই ছবির অনেকটাই মিথ্যাচার হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিরোধী দলকে বুলডোজ করার অধিকার কে দিয়েছে? শাসক দলের শান্তি বজায় রাখাই কর্তব্য। কিন্তু মণিপুরের শাসক দলই অশান্তি তৈরি করেছে। বাংলায় কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।’

এমনকি সম্প্রতি এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী খোদ পিনারাই বিজয়ন। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সম্প্রতি দাবি রেখেছিলেন, ‘ছবি মাধ্যমে সংঘ পরিবার, রাজনৈতিক লক্ষ্য প্রচারে কেরলের ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’

এদিন বিরোধী দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলছেন, তার তো উল্টো হচ্ছে, অন্য সম্প্রদায়কে বার বার  টার্গেট রা হচ্ছে। যেটা সত্য, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। এরকম ঘটনা বিশ বছর ধরে কেরালায় হচ্ছে। লাভ জিহাদ থেকে শুরু করে এই যে তথ্য এসেছে, আদালতও মেনে নিয়েছে। উনি কেন ভয় পাচ্ছেন ?(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর