ব্যুরো নিউজ, ২৯ ফেব্রুয়ারি: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে এর আগে এই মামলায় তাকেগ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তবে ইডির দাবি করেছিল, এই প্রসন্নই শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে অযোগ্য প্রার্থীদের যোগাযোগ করিয়ে দিতেন। অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিতেন। এইভাবে তিনি ১০০ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগও তোলে ইডি। কিন্তু এবার মারাত্মক দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ইডির দাবি, প্রসন্নের ২০০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর তাতেই নাকি জমা পড়েছে ৭০ কোটি টাকা। ‘সন্দেশখালি যেতে পারবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’ অনুমতি হাই কোর্টের ফের হেফাজতে প্রসন্ন গতকাল অর্থাৎ বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই ইডি এই বিস্ফোরক দাবি করে। পাশাপাশি ইডি জানায়, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে প্রসন্নের নামে। যা অত্যন্ত কম দামে কেনা হয়েছে। তাদের দাবি, এই ভাবেই 'দুর্নীতির' টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, ১০০টিরও বেশি সংস্থা আছে প্রসন্নর। ২০০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যার নিয়ন্ত্রক তিনি নিজেই। তদন্তে যে তথ্য মিলেছে তা থেকে দেখা যাচ্ছে এসএসসি 'দুর্নীতি'র সময়েই প্রসন্নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে অন্তত ৭০ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে দাবি ইডির। তাই প্রসন্নকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি। তাদের দাবি, এই দুর্নীতির জাল বহুদূর বিস্তৃত। তাই এর শিকড়ে পৌছতে হলে, প্রসন্নকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও জেরা প্রয়োজন। এরপরই, আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত প্রসন্নের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।