tiger

ব্যুরো নিউজ, ১১ সেপ্টেম্বর:২০২৩ সালে, বিভিন্ন কারণে ভারতে ১৮১টি বাঘের মৃত্যু ঘটেছে। এই বছরও জাতীয় পশুর মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম ১০৩ দিনে ভারত ৪৭ টি বাঘ হারিয়েছে। ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি (এনটিসিএ) সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানানো হয়েছে।ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মোট ৪৭টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশে ১ টি বাঘ, মহারাষ্ট্রে ১১ টি বাঘ, কর্ণাটকে ৬ টি বাঘ, এবং উত্তরপ্রদেশে ৩ টি বাঘ মারা গেছে। রাজস্থান, কেরালা, তেলেঙ্গানা, এবং উত্তরাখণ্ডে যথাক্রমে ২ টি করে বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ছত্তিশগড় ও ওড়িশায় ১ টি করে বাঘ মারা গিয়েছে।

আরজি কর কান্ড : সারা দিনের উপার্জন আন্দোলনকারী ডাক্তারদের হাতে তুলে দিলেন এক কাগজ বিক্রেতা

অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি কি বললেন?

এই তথ্য ব্যাঘ্র সংরক্ষণ  এবং সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির প্রয়োজনীয়তা কতোটা জরুরী তা জানা যাচ্ছে।এনটিসিএ রিপোর্ট করেছে যে, ৪৭টি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও তদন্তাধীন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। বাঘের সংখ্যা রক্ষা করতে এনটিসিএর পরামর্শ অনুযায়ী, ভারতব্যাপী রাজ্যগুলো ব্যাঘ্র সংরক্ষণ  এবং সুরক্ষার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

উত্তরবঙ্গের ৫ জন চিকিৎসক পড়ুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল কাউন্সিল

রিপোর্ট পেশ করার সময় অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বরিয়া ভাটি এই বিষয়টি তুলে ধরেন এবং উল্লেখ করেন যে, ব্যাঘ্র সংরক্ষণে নেওয়া পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য আরও প্রচেষ্টার প্রয়োজন।গত বছর ভারতের ব্যাঘ্র সংরক্ষণে এক বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘের মৃত্যু ঘটেছে মহারাষ্ট্রে, যেখানে ৪৫টি বাঘ মারা গেছে। এর পরেই মধ্যপ্রদেশে ৪৩টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে, যেমন উত্তরাখণ্ডে ২১টি, তামিলনাড়ুতে ১৫টি, কেরালায় ১৪টি, কর্ণাটকে ১২টি এবং আসামে ১০টি বাঘের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

মোট ১৮১টি মৃত বাঘের মধ্যে মাত্র ৪৪টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে প্রাকৃতিক কারণে। ৯টি বাঘ শিকারের কারণে মারা গেছে, ৭টি বাঘ অজানা কারণে মারা গেছে, এবং ৬টি বাঘ অসুস্থতার কারণে মারা গেছে। বাকি ১১৫টি বাঘের মৃত্যুর কারণ এখনও তদন্তাধীন। এই পরিস্থিতি ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্মসূচির কার্যকারিতা এবং রাজ্যগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর নতুন করে ভাবনা উত্থাপন করেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অতিরিক্ত গবেষণা এবং দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে ভবিষ্যতে বাঘের মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব হয় এবং বাঘের সংখ্যা বাড়ানো যায়।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর