ব্যুরো নিউজ, ৩০ অক্টোবর :আজ ভূত চতুর্দশী। তারপরেই কালী পুজো। ভূত চতুর্দশী যা কোথাও কোথাও নরক চতুর্দশী নামেও পরিচিত। এই দিনে বাড়িতে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা প্রচলিত আছে। সঙ্গে ১৪ রকমের শাক খাওয়ার চলও রয়েছে। বাজারে গেলে এই সময়ে ১৪ শাকের গোছা দেখতে পাবেন। তবে অনেক সময় এতে সঠিক শাক থাকে না কিংবা ১৪ রকম শাকও থাকে না। কিন্তু আপনি কি জানেন এই দিন কোন ১৪টি শাক খেতে হয় এবং তাদের স্বাস্থ্য উপকারিতা কী?
কালীপূজোয় মহাকালীর আশীর্বাদ পেতে এই কাজগুলি করুন! মিলবে প্রচুর ধনসম্পদ
কোন কোন শাকগুলি জেনে নিন
১৪ শাকের মধ্যে অন্যতম হল ওল শাক ও বেতো শাক। ওল গাছের পাতা, ডাল এবং অর্শের জন্য পরিচিত। এই শাক লিভারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্ত আমাশা কমাতে কার্যকরী। অন্যদিকে, বেতো শাকে রয়েছে আট ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিন, যা অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ত্বকের রোগে উপকারী।
কেঁউ শাকও ১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে, যা কালী পুজোর আগের দিন খাওয়া হয়। এই শাকের রস বাতের রোগ ও কুষ্ঠ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর। সর্ষে শাকও তালিকায় আছে, যা ভিটামিন, লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের ভালো উৎস। এছাড়া, নিমপাতা বহু স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এবং ত্বকের যত্ন ও সুগার রোগীদের জন্য উপকারী।
কালীপুজোয় কোথায় কোথায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস
শালিঞ্চ শাক ত্বক, চোখ, চুল এবং ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পলতা পাতা বা পটল পাতা শরীরে রক্ত বাড়াতে এবং শোধন করতে উপযোগী। গুলঞ্চ শাক সুগার, যক্ষ্মা, বাত এবং গানোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জয়ন্তী শাক শ্বেতির রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
হিঞ্চে শাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শুষনি শাক মাথার যন্ত্রণা কমাতে কার্যকর, আর ঘেঁটু শাক বাত, জ্বর, চুল পড়া এবং হাঁপানি চিকিৎসায় উপকারী। শিশুদের পেটের রোগ সারাতে শেলুকা বা শতপুষ্প শাক অত্যন্ত কার্যকরী।
কালীপুজো ও দিওয়ালিতে অতিরিক্ত খেয়ে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা ? ঘরোয়া টোটকায় সমাধান হবে সব সমস্যা
চোদ্দতম শাকটি হল কালকাসুন্দে শাক। এই শাকের রস অ্যালার্জি, জ্বর, ক্ষত নিরাময় এবং কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই, এই বিশেষ দিনে ১৪ শাক খাওয়া নিশ্চিত করুন, কারণ এগুলি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই উপকারী!