ব্যুরো নিউজ,১৫ জানুয়ারি:পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পূর্বে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি রিঙ্গার্স ল্যাকটেট এবং এবার সেই নিষিদ্ধ তালিকায় নতুন করে ১৩টি ওষুধের নাম যুক্ত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ১৪টি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না, এমনকি হাসপাতালগুলির কাছে যেগুলি আগে মজুদ ছিল, সেগুলি অবিলম্বে সরিয়ে ফেলতে হবে।এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের স্যালাইন ব্যবহারের কারণে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন প্রসূতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে, যারা ইতিমধ্যে মেদিনীপুর হাসপাতাল পরিদর্শন করে এবং চিকিৎসক, নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা রিঙ্গার্স ল্যাকটেটের ব্যাচ নম্বর, হাসপাতালের রোস্টার এবং অন্যান্য নথি খতিয়ে দেখছেন।
ধর্মীয় গোড়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে তসলিমা নাসরিনের কড়া মন্তব্য: লস অ্যাঞ্জেলসের দাবানল নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট
যে ১৩টি নতুন ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে:
১) ডেক্সট্রোস ইনজেকশন ১০%
২) লেভোফ্লোক্সাসিন ইনফিউশন
৩) ম্যানিটল ইনফিউশন ২০%
৪) অফলোক্সাসিন ইনজেকশন ২০০ মিলিগ্রাম
৫) পেডিয়াট্রিক মেনটেনান্স ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন
৬) প্যারাসিটামল ইনফিউশন ১০০০ মিলিগ্রাম
৭) সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন ০.৯%
৮) ডেক্সট্রোস সলিউশন ৫%
৯) রিঙ্গার ল্যাকটেট সলিউশন ইনজেকশন
১০) রিঙ্গার ল্যাকটেট ইনজেকশন
১১) সোডিয়াম ক্লোরাইড ইরিগেশন সলিউশন
১২) সোডিয়াম ক্লোরাইড ০.৯% + ডেক্সট্রস ৫% ইনজেকশন
১৩) সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন ০.৪৫% ডেক্সট্রোস ৫%
শুক্র-রাহুর মীন রাশিতে মিলনঃ ৫ রাশির জন্য শুভ যোগ। জানুন কোন কোন রাশি?
রাজ্য সরকারের নির্দেশে, এসব ওষুধ এখন আর ব্যবহার করা যাবে না, এবং যে হাসপাতালগুলিতে এগুলি আছে, সেগুলি অবিলম্বে সরে ফেলতে হবে। এই সিদ্ধান্তটি মেদিনীপুরের ঘটনার পর নেওয়া হলেও, এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র হাসপাতালগুলির মান বজায় রাখা এবং রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।এই ঘটনাগুলির মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, রাজ্য সরকার এখন থেকে আরও কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে চলেছে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রের প্রতি, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও রোগীকে অস্বাস্থ্যকর ওষুধের কারণে মৃত্যুর মুখে পড়তে না হয়।