বছরে

ব্যুরো নিউজ, ২৫ অক্টোবর: ৫৬৯ বছরে হুগলীর কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ির পুজো

সেই ১৪৫৪ সাল। ইতিহাসের পাতায় তখন লোদি যুগের শাসন। তখনই শুরু হয়েছিলো হুগলীর কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ির পুজো। এ বছর এই পুজো পা দিলো ৫৬৯ বছরে। শুরুটা হয়েছিলো সেই সময়ের বাড়ির কর্তা আশুতোষ ঘোষালের হাত ধরে। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাড়ির পাশের নিম গাছে নারায়ন শিলা পান। আদেশ পান দুর্গাপুজো করার। এরপরে মুঘল সম্রাটদের স্বীকৃতি। তারপরে ব্রিটিশ সরকার এই পুজোকে স্বীকৃতি দেয়।

পুজোর জন্যে সাহেবরা বরাদ্দ করে বছরে ৭০০ টাকা। একসময় ৭০০ টাকাই খরচ করে শেষ করা যেত না। গ্রামের প্রজারা তাদের চাষের ফসল আনাজ শ্রম দিয়ে সমৃদ্ধ করতো এই পুজো। কিন্তু এখন ওই ৭০০ টাকা আর বিশেষ কাজে আসে না। তাই দীর্ঘ বেশ কিছু বছর ধরে ওই টাকা তারা খরচ করেন না। ১০৮ টি প্রদীপ জ্বেলে বংশের উপবিত ধারি পুরুষরা পুজো অর্চনায় যোগ দেন।

বাজারে কি ফের আসতে চলেছে ১০০০ টাকার নোট? কি বলছে RBI?

একেবারে পুঁথি মেনে পুজোর আয়জন থেকে সাঙ্গ সবই হয়। বাড়ির অন্যতম কর্তা প্রাক্তন তৃনমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল জানান, দশমীর দিন বাড়ির মহিলা পান্তা ভাত আর ইলিশ মাছ খেয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করে। রীতি ছিল সন্ধ্যায় ঠাকুর বিসর্জনের। কিন্তু সেই সময়ের জঙ্গলাকীর্ণ কোন্নগরে উৎপাত ছিল বাঘ ও হিংস্র জন্তুর। একবার বিসর্জনে যাওয়া এক ব্যাক্তিকে বাঘে খেয়ছিল। তারপর থেকেই সন্ধ্যার আগেই বিসর্জন করা হয় এই প্রতিমা।

উল্টোরথ থেকে পুজোর কাঠামো বানানো শুরু হয়। মা কে সন্দেশ দেওয়া হয়না। দেওয়া হয় নারকেল নারু। একসময় এই জমিদার বাড়ি কিছুটা জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছিলো। জাঁকজমক হারাচ্ছিল পুজো। কিন্তু এইবার দুর দুরান্তে থাকা পরিবার পরিজনেরা একত্রিত হয়ে একটি বিশেষ তহবিল গড়ে সারানো হয়েছে বাড়ি ও পুজো মণ্ডপ। নতুন উদ্দামে আবার শুরু হয়েছে পুজো। ইভিএম নিউজ   

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর