লোকসভা

ব্যুরো নিউজ, ১২ ডিসেম্বর: ২৪-এর লোকসভায় ফের তখতে বিজেপি?

সদ্য সমাপ্ত লোক সভা নির্বাচনে ৩ রাজ্যে জয়ের পর, সারা দেশে ২০২৪ সালের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাজিমাত করতে পারে। অন্তত এখনও পর্যন্ত যা ফলাফল তাতে বিজেপিকে টক্কর দেওয়ার মতো এমন কোনও দল বা জোট দেখা যাচ্ছে না। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভোট কৌশলের কাছে দাড়াতেই পারেনি কংগ্রেস। অন্তত মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিসগঢ়ের ফলাফলে তা স্পষ্ট। তবে তেলেঙ্গানা জিতে একটু অক্সিজেন পেয়েছে কংগ্রেস। ছত্তিসগঢ় হারিয়ে কংগ্রেস তেলেঙ্গানা ছিনিয়ে নেওয়াকে নাকের বদলে নরুন পাওয়ার সামিল।

সুপ্রিম রায়ে জট ছাড়ল এসএসসি মামলার | ১৪ হাজার শূন্যপদে হবে নিয়োগ

ছত্তিসগঢ়ে কংগ্রেসের হার অপ্রত্যাশিত ছিল রাহুল গান্ধির কাছে। আর রাজস্থানে কংগ্রেস হারের মুখ দেখল অন্তরকলহে জর্জরিত হয়ে। এর সবতাই জানেন রাহুল। কিন্তু বেচারা সোনিয়া তনয়ের দাড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। সেখানে চেয়ারের দখল্কে কেন্দ্র করে টানা লড়াই করে এল অশোক গেলাট, শচিন পাইলট। আর তাতেই রাজস্থান হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। এর ফলে মরুরাজ্যে  কংগ্রেসের হাতে পেন্সিল ছাড়া আর কিছু নেই।  মোদী- শাহের কারিশ্মা দিনে দিনে বেড়েই চলরেই।তেলেঙ্গানায় সামগ্রিকভাবে বিজেপির তেমন অসুবিধা হয়নি। কারণ সেখানে  আগেও বিজেপি বিরোধী সরকার ছিল, আবারও তাই। কিন্তু বিজেপিকে একটি ভাবিয়ে রেখেছে দক্ষিণের ৫ রাজ্য তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও কেরালা। কেরালা ধরে রেখেছে সি পি এম। আর তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস রয়েছে ডিএমকের সঙ্গে। এই ৫ রাজ্যই রয়েগেছে বিজেপির অধপ্রা। কিন্তু তাতেও নরেন্দ্র মোদীর জয় ঠেকানো মুশকিল।

নরেন্দ্র মোদী নির্বাচন আসলেই যে কৌশল নেন তা সামাল দিতে পারবে না কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোট। মোদী এন্ড কোম্পানি স্পষ্ট বুঝে গেছে যে  ইন্ডিয়া জোটের ফাটল ক্রমশ চওড়া  হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সি পি এম-সহ বাম দলগুলি একাই লড়বে ৪২ আসনে। কারণ কংগ্রেসকে ২ টি লোকসভা ও ১ টি রাজ্যসভার আসন ছারতে নাকি রাজি হয়েছে তৃণমূল। ফলে  তৃণমূলের সংসদে থাকা কংগ্রেসের সঙ্গে কোনওভাবেই জোটে যাবেনা আইএসএফ ও বামফ্রন্ট।  বামফ্রন্টের নেত্রীবর্গ ও বিশেষ করে সি পি এম -এর রাজ্যসম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবার কংগ্রেসের হাত ছাড়তে চলেছে। কংগ্রেস শুধু মাত্র ২ টি আসনের বিনিময়ে তৃণমূলের সঙ্গে আসন রফা করতে রাজি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খুব শিঘ্রই ২ দল জানিয়ে দেবে। বহরমপুরের আসনে অধীর রঞ্জন চৌধুরী, আর মালদা দক্ষিনে আবু হাসেন খান চৌধুরীকে আবারও লোকসভায় জিতিয়ে নিয়ে যেতে চায় কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দল কীভাবে ৪২ এর মধ্যে মাত্র ২ টি পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিস্ময়। আই এস এফ -এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হাত যারা ধরেছেন তাদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবেন না। আর এই যুক্তিতে রাজ্যের বাকি আসনে লড়াই হবে ত্রিমুখী। অর্থাৎ তৃণমূল, বাম ও বিজেপির মধ্যে। বিজেপি কতগুলি আসন পায় সে দিকে তাকিয়ে আছেন অনেকে। পশ্চিমবঙ্গে ইডি, সি বি আই-এর খেলা এখনও বাকি আছে। তাই বিজেপির আশা তারা অন্তত ২৫ এর ওপরে আসন ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু বিগত নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি আশা করলেও তৃণমূল তা পাত্তা দিতে নারাজ। মমতা কোমর বেঁধে ময়দানে নামলে বিজেপির ফানুস চিপসে যাবে বলে ত্রিনমুলিদের ধারণা।

তবে সারা দেশে দক্ষিনের ৫ টি রাজ্য ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড থেকে সামান্য কিছু সংখ্যায় আসন পেলে বিজেপি নিশ্চিত ভাবে ৩০০ -এর কাছে আসন পাবে বলে ধারণা বিজেপির ভোট কৌশলীদের। তবে আভি বহুৎ কুছ বাকি হ্যায়। সামনে রাম মন্দির উদ্বোধন তাতে হিন্দু ভোট অনেকটাই টানবেন মোদী। সেই সেঙ্গে আরও কিছু নয়া ঘোষণাও তিনি করতে পারেন। এর ফলে, বিজেপি বিরোধীদের অনেক হিসাবই ওলটপালট হয়ে যাবে বলে রাজনীতির কারবারিদের আশঙ্কা। মধ্য প্রদেশে যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে সারা দেশে যাদব ভোট টানার কৌশল তিনি ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। ফলে লোকসভায় তাদের সংখ্যা ঠিক কতোয় গিয়ে দাঁড়াবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর