জমিদার বাড়ি

ব্যুরো নিউজ, ২ অক্টোবর: ১৫৮ তম বর্ষে পদার্পণ করল জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। সপ্তমীর হোমের আগুন নেভে দশমীতে, এমনই রীতি।

পুজোর ঢাকে কাটি পড়ে গিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো কার্যত দোরগোড়ায়। হাতে বাকি মাত্র কয়েকটা দিন। পুজো পুজো গন্ধ বাংলার আকাশে-বাতাসে, অলিতে-গলিতে। চলছে জোড় কদমে প্রস্তুতি।

জলঙ্গি নদীর বিলে সন্ধ্যারতীতে বেনারসের সন্ন্যাসীরা

জমিদারি কথা আর নেই, কিন্তু জমিদার বাড়ির পুজোতে কোনওরকম খামতি রাখতে চাইছে না পরিবারের সদস্যরা।জমিদারি আর নেই। রয়ে গিয়েছে জমিদারের বৈঠকখানা, দালানঘর, জমিদারি আমলের লোহার সিন্দুক, আরও কত কী! সবই আজ ইতিহাস। সেই ইতিহাসেরই এক নীরব সাক্ষী ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণ গ্রামের মণ্ডলদের জমিদার বাড়ি।

মণ্ডল বাড়িতে জোরকদমে চলছে পুজো প্রস্তুতি। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে জমিদার গোলকচন্দ্র মণ্ডলের জীবদ্দশায় মণ্ডলবাড়িতে শুরু হয় উমার আরাধনা। প্রথম থেকেই মণ্ডল বাড়িতে একচালা প্রতিমা। আগে মাটির সাজের দেবী দুর্গার আরাধনা হত। সাতের দশক থেকে প্রতিমার ডাকের সাজ শুরু হয়। রথযাত্রাতে হয় কাঠামো পুজো।

ষষ্ঠীর দিন বেলতলায় দেবীর বোধন। পরিবারের কুলদেবতা লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দির রয়েছে দুর্গাদালানের পাশেই। সেই মন্দির থেকে কুলদেবতাকে সিংহাসনে বসিয়ে দুর্গাদালানে দেবী দুর্গার পাশে আনা হয়। পুজোর চারদিন গৃহদেবতারও পুজো হয়। সপ্তমীর হোমের আগুন নেভে দশমীতে। অষ্টমীতে কুমারী পুজোর রীতিও রয়েছে।

জমিদার আমলে সন্ধিপুজোয় হত গানফায়ার। বর্তমানে তা আর হয় না। আগে রেওয়াজ ছিল পাঁঠাবলির। রীতি মেনে পরিবারের সবচেয়ে প্রবীণ দম্পতি পুজোয় উপবাস করেন। তৎকালীন হাজিপুরের (অধুনা ডায়মন্ড হারবার) বারদ্রোণ গ্রামের বাসিন্দা অযোধ্যা রামের পৌত্র গোলকচন্দ্র মণ্ডল। সেই সময় মণ্ডল পরিবার ছিল পুরোমাত্রায় ব্যবসায়ী।

সেই রীতি মেনেই আজও হয় ডায়মন্ড হারবারের বারদ্রোণ গ্রামের মণ্ডলদের জমিদার বাড়ির পুজো। আজও উমার আরাধনায় এতোটুকু খামতি রাখতে নারাজ মণ্ডল পরিবার। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর