গোষ্ঠীর

ব্যুরো নিউজ, ১২ জানুয়ারি: হুথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের

হুথিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা আমেরিকা-ব্রিটেনের। শুক্রবার ভোর থেকেই ইয়েমেনে হুথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌথ হামলা শুরু করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।

মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারী ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির মৃত্যু

গত বছরের শেষ থেকে লোহিত সাগরে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করেছে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী। যার ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। এর প্রতিশোধেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ইয়েমেনে হুথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলিতে বিমান হামলা শুরু করেছে, এমনটাই জানিয়েছেন এক মার্কিন সামরিক কর্তা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রিটেন অবশ্য এখনও সরকারিভাবে এই হামলার ঘোষণা করেনি। তবে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং বন্দর নগরী আল হুদাইদাহ থেকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের খবর মিলেছে।

গাজায় ইজরায়েলের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তারা লোহিত সাগরে ইজরায়েলের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত জাহাজে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল। তারপর থেকে এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথে বহু জাহাজ অপহরণ করেছে হুথি গোষ্ঠী। পাশাপাশি বহু জাহাজের উপর হামলাও চালিয়েছে। লোহিত সাগরে এই হামলার ফলে অনেক দেশেরই সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

প্রথম থেকেই হুথি গোষ্ঠীকে খোলাখুলি সমর্থন করে এসেছে ইরান। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ওমানের উপকূলে একটি তেলের ট্যাঙ্কার আটক করে ইরানের নৌবাহিনী। পাশাপাশি হুথিরা একটি জাহাজে বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। সেই দিনেই, মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সফর শেষ করে ফেরেন। এর পরই ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।

তবে এর আগে বাণিজ্য জলপথে জাহাজগুলিতে কোনও ভাবে হামলা চালালে তার ফল হুথিদের ভুগতে হবে বলে সতর্ক করেছিল বাইডেন প্রশাসন। এরপর মার্কিন প্রশাসন এই বিমান হামলার আহ্বান জানায়। এরপর, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সেই হামলার অনুমোদন দেন। তারপর থেকে একটানা বিমান হামলা চলছে ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায়।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর