ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৩ মেঃ এবারে বিপাকে পড়েছেন হজ যাত্রীরা। এতটাই অসুবিধায় পড়েছেন রাজ্যের কয়েক হাজার হজ যাত্রী যে হজ হাউজের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তারা। বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ নামাতে হয়েছে সেখানে।
হজ যাত্রীদের অভিযোগ একাধিক। প্রথমত, তাদের এ বছর সত্তর হাজার টাকা বেশী দিতে হচ্ছে। কিন্তু তাতেও শান্তি বা স্বস্তি নেই। তাদের ভিসা পেতে দেরি হচ্ছে। রবিবার দিন হপজ যাত্রার জন্য প্রথম বিমানটি কলকাতা ছেড়েছে। কিন্তু তাতে যেতে পারেননি অনেকে, কারণ ভিসা হাতে পাননি।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এমনকি বিহার, ঝাড়খণ্ড ইত্যাদি রাজ্য থেকেও কলকাতার হজ হাউজের মাধ্যমে সৌদি আরবে যেতে হয়। হজ যাত্রীদের বক্তব্য, হজ হাউজেও রয়েছে একাধিক সমস্যা। সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিরাট লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। কারণ একটি মাত্র কাউন্টার সেখানে। যে কর্মীরা কাউন্টার সামলাচ্ছেন তারা কম্পিউটারের কাজ ঠিক মতো জানেন না, এমন অভিযোগও করছেন হজ যাত্রীরা। ফলে, দেরি হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর শুনতে হচ্ছে, ” আজ হবে না, কাল আসুন।”
এরপর দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা কোথায় থাকবেন, কি ভাবে থাকবেন তা নিয়েই সমস্যায় পড়ছেন। এই মুহূর্তে কলকাতায় প্রায় ১৮০০০ হজ যাত্রী রয়েছেন। তাদের একটি বড় অংশই এই অব্যবস্থা্র শিকার।
এবছর ৭০০০০ টাকা যে বেশী দিতে হচ্ছে সমস্ত ফি বাবদ, সেই বাড়তি টাকা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে। কেন্দ্র হজ যাত্রীদের জন্য ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল করায় টাকার পরিমাণ বেড়েছে। ঘটনা হল, এপ্রিল মাস থেকেই টাকা সহ আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছিল। রাজ্য সরকার ভালো মতোই জানতো যে এবছর এতো বেশী টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এতদিন রাজ্য সরকার চুপ করে ছিল। মাত্র দিনকয়েক আগে নবান্ন থেকে এ ব্যাপারে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে। হজ যাত্রীরা মনে করছেন, রাজ্য সরকারের এই চিঠি কার্যত লোকদেখানো ব্যাপার। তা না হলে সব জেনেও সরকার এপ্রিল মাস থেকে চুপ করে বসে থাকতে পারত না।
ক্যালকাটা খিলাফৎ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই গোটা অব্যাবস্থার বিরুদ্ধে। তারই পরিচিত জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তির হেনস্থার কথাও উল্লেখ করেছেন নাসির আহমেদ। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, এ বছর হজ যাত্রীরা চরম অব্যাবস্থার শিকার। (EVM News) ভারতীয় নাগরিকদের উপর কি CAA-এর কোন প্রভাব পড়বে?