রাজীব ঘোষ, ৩১ আগস্ট: স্মার্ট বিনিয়োগ হতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড! ভবিষ্যতের জন্য মোটা অঙ্কের ফান্ড তৈরি করতে চাইলে বিনিয়োগ করুন মিউচুয়াল ফান্ডে।

ভবিষ্যতের জন্য মোটা অঙ্কের ফান্ড তৈরি করতে গেলে সাধারণ প্রথাগত সঞ্চয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতেই হবে। আর এই মুহূর্তে সরাসরি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্টক, ঋণপত্রে নিজের টাকা সঞ্চয় করতে পারেন। আর মিউচুয়াল ফান্ডে নিয়মিত বিনিয়োগ করে গেলে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্তির পরে বিরাট পরিমানে লাভ হাতে উঠে আসবে।

মিউচুয়াল ফান্ড সম্বন্ধে কিছুটা জেনে নেওয়া দরকার (About Mutual Fund Investment)

এই মুহূর্তে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ড ক্রেতারা নিতে পারছেন। এছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানিগুলি থেকে সরাসরি ফান্ড কিনতে পারেন। তবে কোনও মিউচুয়াল ফান্ড নেওয়ার আগে নিজের চাহিদা অনুযায়ী, সামর্থ্যমত কোন ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন, সেই বিষয় সম্বন্ধে একটু বুঝেশুনে নেওয়ার প্রয়োজন।

ব‍্যাঙ্কেই টাকা ডবল!

বাজারে এই মুহূর্তে প্রচুর মিউচুয়াল ফান্ড। আর হবে নাই বা কেন,  দেশের অর্থনীতির দিকে একটু খোঁজ রাখলে দেখা যাবে, বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার দেশজুড়ে এতটাই বড় হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাজেটের (Central Budget) আয়ের সঙ্গে রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে। ঋণ ছাড়া প্রস্তাবিত রাজস্ব আদায়ে কেন্দ্রীয় বাজেটে বলা হয়েছে ২৭ লক্ষ কোটি টাকার কিছুটা বেশি। দেশের বাজারে ৪৪টি ফান্ড সংস্থা এই মুহূর্তে ২৪ লক্ষ কোটি টাকা তুলেছে। ভেবে দেখুন, মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার কতটা বড় হয়েছে!

আর স্বাভাবিক নিয়মে যে শিল্প যত বাড়তে থাকবে, তার উত্থান যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই তাতে প্রতিযোগিতাও বাড়তে থাকবে। তবে প্রতিটি মিউচুয়াল ফান্ডেই গ্রাহকেরা কিছু না কিছু কমবেশি লাভ পেতেই থাকবেন। এবার রয়েছে ফান্ডের কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবেন? বাজারের চাহিদা ও দরের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পছন্দের শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার রয়েছে ব্যাংকিং সেক্টর। শেয়ার ও ঋণপত্রে (Share and Bond) একসঙ্গে বিনিয়োগের সুযোগও রয়েছে। বিভিন্ন ফান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু এখন কোথায় বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হবে, তা জানতে হলে দেশের অর্থনীতির দিকে একটু নজর দিন।

সরকার সব সময় চাইছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ডিজিটাল টেকনোলজিতে ইনভেস্টমেন্ট বাড়ুক। যেহেতু সবকিছুই অনলাইন নির্ভর হয়ে চলেছে, ফলে ডিজিটাল প্রযুক্তির ফান্ডগুলিতে বিগত ৫ বছরের তুলনায় ৩ বছরের রিটার্ন অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশের উপরে বেড়েছে। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও একই রকম লাভ হচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে মিউচুয়াল ফান্ড কেনার সময় এই দুটো ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। ফান্ডের মাধ্যমে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতেই পারেন। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর