রাজীব ঘোষ, ৭ সেপ্টেম্বর: স্কুল ছাত্রীদের সহায়তায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প।

 

দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কন্যা সন্তানদের শিক্ষায় অগ্রগতির লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটির নাম বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা (Balika Samriddhi Yojana)। এখনও পর্যন্ত দেশের বহু প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কন্যা সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।

মেয়েরা যাতে পড়াশোনা করে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেই দিকে নজর দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে গ্রাম ও শহরে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারের স্কুল ছাত্রীদের জন্য প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এবার বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য একবার দেখে নেওয়া যাক।

বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায় আবেদনের যোগ্যতা:
স্কুল ছাত্রীকে অবশ্যই BPL ক্যাটাগরি ভুক্ত হতে হবে। যেকোনও পরিবারের প্রথম ও দ্বিতীয় কন্যা সন্তানেরাই এই সুবিধা পাবে। তৃতীয় কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে এই অনুদান পাওয়া যাবে না। পারিবারিক বার্ষিক আয় ২ লক্ষ টাকার মধ্যে হতে হবে।

এই যোজনায় কত টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে?
স্কুলে পড়াশোনা চলাকালীন ক্লাস অনুযায়ী এই যোজনার অধীনে টাকা দেওয়া হবে।
প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণী- প্রতিবছর ৩০০ টাকা।
চতুর্থ শ্রেণী- প্রতিবছর ৫০০ টাকা।
পঞ্চম শ্রেণী- 600 টাকা।
ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণী- ৭০০ টাকা।
অষ্টম শ্রেণী- প্রতিবছর ৮০০ টাকা।
নবম ও দশম শ্রেণী- প্রতিবছর ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

স্কলারশিপে আবেদন করলেই ৭৫ হাজার টাকা !

 

যোজনায় আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?
স্কুল ছাত্রীর জন্মের সার্টিফিকেট। অভিভাবকের ঠিকানা প্রমাণ হিসেবে আধার/ প্যান/ রেশন অথবা ভোটার কার্ড। পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ইনকাম সার্টিফিকেট। স্কুলে অ্যাডমিশন অথবা বার্ষিক পরীক্ষার মার্কশিট। BPL Category-র অন্তর্ভুক্তির প্রমাণ হিসেবে রেশন কার্ড।

কিভাবে আবেদন করতে হবে?
নিজের এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভার অফিস থেকে এই যোজনার ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে। অনলাইনে Child Protection and Child Rights-এর ওয়েবসাইট থেকেও ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন। সঠিক তথ্য পূরণ করে ফর্ম ফিলাপ করার পর জমা দিতে হবে। ফর্ম জমা দিলে একটি স্লিপ দেওয়া হবে, সেখানে Tracking ID থাকবে। জেলা পর্যায়ে এই আবেদন পত্র ভেরিফিকেশনের পরে টাকা দেওয়া শুরু হবে। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর