ব্যুরো নিউজ, ২০ নভেম্বর: সুড়ঙ্গে আটকে শ্রমিকরা | উদ্ধারের নয়া পরিকল্পনা কেন্দ্রের
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের পর ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবার ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে একসঙ্গে পাঁচটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবার সুড়ঙ্গের ছাদ খুঁড়ে ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রবিবার থেকেই সেই কাজ শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে আরও উদ্ধারকারী দল যাতে সহজে সুড়ঙ্গের কাছে পৌঁছতে পারে, তার জন্য বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন নতুন রাস্তা বানাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও বিশেষজ্ঞ দল। তারাই পাঁচটি পদ্ধতিতে উদ্ধারকাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গিয়েছে, সিল্কিয়ারার দিক থেকেই আমেরিকান অগার মেশিন ঢোকানোর চেষ্টা শুরু হয় শুক্রবার। ৬০ মিটারের ধ্বংসস্তূপ পেরোলে তবেই উদ্ধার করা সম্ভব ওই ৪০ জন শ্রমিককে। কিন্তু ২২ মিটার খননের পর আর এগোয়নি ৯০০ মিমি-র চওড়া পাইপ।
বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে করে ইন্দোর থেকে আরও একটি যন্ত্র আনা হয়েছে। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বারকোটের দিক থেকে সুড়ঙ্গে খনন চলছে। এ পথেও অনেকটা সময় লেগে যাওয়ার কথা। কমপক্ষে ৪-৫দিন সময় লেগে যেতে পারে।
তৃতীয় পরিকল্পনা হল, সুড়ঙ্গের উপর থেকে ভার্টিকাল ড্রিল বা উল্লম্ব ভাবে খনন করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা। আরও দুই পরিকল্পনা মাথায় রাখা হচ্ছে। সেগুলি হল সুড়ঙ্গের ডান ও বাম দিক থেকে খনন।
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, ৪০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করতে আরও ৪-৫ দিন সময় লেগে যেতে পারে। কিন্তু এতদিন কি সুড়ঙ্গের গভীর অন্ধকারে জীবনযুদ্ধ চালাতে পারবেন আটকে পড়া ওই ৪০ জন শ্রমিক?
জানা গেছে আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে, খাওয়ানো হচ্ছে অ্যান্টি-ডিপ্রেশন পিল।
ইতিমধ্যেই উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ তৈরি নিয়ে উঠে এসেছে বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ। প্রকাশ্যে এসেছে সুড়ঙ্গের একটি পরিকল্পনা চিত্র। সেখানে শুরু থেকেই রয়েছে বিকল্প পথের ব্যবস্থা। যাতে বিপদ ঘটলে ওই পথে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে পারেন শ্রমিকরা।
তবে অভিযোগ, বিকল্প পথ ম্যাপে থাকলেও বাস্তবে ছিল না। প্রশ্ন উঠছে, সেই কারণেই কি প্রাণ যেতে বসেছে শ্রমিকদের? ইভিএম নিউজ