ব্যুরো নিউজ, ১৯ অক্টোবর: সিবিআই দফতরে হাজিরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। বুধবার চতুর্থীর সন্ধ্যায় ৬টার মধ্যে গৌতমকে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা কোর্ট। সময়ের আগেই সিবিআইয়ের দফতরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছেন নির্ধারিত সময়ের সাত মিনিট আগেই অর্থাৎ ৫টা ৫৩ মিনিটে।
মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষের তীব্র জবাব দিলেন দিলিপ ঘোষ
সিবিআই দফতরে প্রবেশের আগে তিনি সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপচাপ দফতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। রাত ১১টা নাগাদ সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “মহামান্য আদালত আমাকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলেছিলেন। আমি কোর্টের নির্দেশে এসেছি। সিবিআই আধিকারিকেরা যা যা জানতে চেয়েছেন তা তাদের আমি জানিয়েছি।” এর পরেই তিনি গাড়িতে উঠে যান।
বুধবার হাই কোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। ২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই রিপোর্ট দেখার পরেই গৌতমকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের স্বাধীনতাও সিবিআইকে দিয়েছেন বিচারপতি।
কেন পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট? কারন বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেন যে, প্রাথমিকের অনেক মামলার শুনানি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পর্ষদের বর্তমান সভাপতি সহ অন্য আধিকারিকেরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকে ‘ডিজিটাইজ়ড কপি’ বলে দাবি করেছেন। তাই আদালত মনে করছে, পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিচারপতি এ-ও নির্দেশ দেন যে, সিবিআই চাইলেই পর্ষদের যে কোনও আধিকারিককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। ইভিএম নিউজ
