ব্যুরো নিউজ, ৩০ নভেম্বর: ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাজের শর্তাবলী স্থির| কী সেই শর্তাবলী?
২৯ নভেম্বর ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাজের শর্তাবলী স্থির করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে ষোড়শ অর্থ কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ২০২৬-এর পয়লা এপ্রিল থেকে আগামী পাঁচ বছর।
কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের প্রচার| মাত্র ৩০ টাকায় দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে উদ্ধার
সংবিধানের ২৮০(১) ধারা অনুযায়ী, অর্থ কমিশনের মাধ্যমে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির মধ্যে কর রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়গুলির পাশাপাশি অনুদান এবং নির্দিষ্ট সময়সীমায় পঞ্চায়েতের অর্থ সংস্থানের বিষয়টি স্থির হয়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তৈরি হয় ২০১৭-র ২৭ নভেম্বর। ঐ কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ২০২০-র পয়লা এপ্রিল থেকে পরের ছ’বছর অর্থাৎ ২০২৬ পর্যন্ত । ২০২৬-এর পয়লা এপ্রিল থেকে আগামী পাঁচ বছর ষোড়শ অর্থ কমিশন।
ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাজের শর্তাবলী :
(১) কর রাজস্ব ভাগাভাগি হবে সংবিধানের দ্বাদশ বিভাগের প্রথম অধ্যায় অনুযায়ী।
(২) কনসলিডেটেড ফান্ড অফ ইন্ডিয়া থেকে রাজস্ব বাবদ রাজ্যগুলির অনুদানের বিষয়টি নির্ধারিত হবে সংবিধানের ২৭৫ ধারা মোতাবেক।
(৩) রাজ্যগুলির কনসলিডেটেড ফান্ড বাড়ানো এবং পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির জন্য অতিরিক্ত সংস্থানের বিষয়টি স্থির হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী।
বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত উদ্যোগের ক্ষেত্রে এই কমিশন বিপর্যয় মোকাবিলা আইন, ২০০৫-এর আওতায় বর্তমান সংস্থানগুলির বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে পারে।
উল্লেখ্য, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গঠিত হয় ২০১৭-র ২৭ নভেম্বর। ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত সময়কালে প্রয়োজনীয় সুপারিশের দায়িত্ব ছিল এই কমিশনের ওপর। তবে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের শর্তাবলী কিছুটা পরিমার্জিত করে দু’বার প্রতিবেদন পেশ করার কথা বলা হয়েছে। প্রথমটি ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য, পরেরটি ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য। সাধারণভাবে অর্থ কমিশনের রিপোর্ট পেশ হতে দু’বছর সময় লাগে। সংবিধানের ২৮০ ধারা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ বছর অর্থ কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬-এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত করার ফলে ষোড়শ অর্থ কমিশন গঠিত হচ্ছে এই সময়ে। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ