ব্যুরো নিউজ, ১৭ জানুয়ারি: শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এবার হাইকোর্টে খুনের মামলা দায়ের
৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত #শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মার খান ইডির আধিকারিকেরা। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকা ছাড়তে হয় তাঁদের। সেই নিয়ে #শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলটি হাইকোর্টে মামলা করে। এই মর্মে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য, তখন নতুন করে সামনে এল একটি খুনের মামলা। সেই খুনের মামলায় জড়িত সন্দেশখালির দাপুটে নেতা #শেখ শাহজাহানের নাম। সেই খুনের মামলা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন পদ্মা মণ্ডল ও সুপ্রিয়া মণ্ডল নামের দুই মহিলা। তবে, সেই বিষয়ে নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। তবে আপাতত পুলিশ তদন্ত করতে পারবে।
জানা গিয়েছে, আদালতে আসা ওই দুই মহিলার দাবি, বছর পাঁচেক আগে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ জুন খুন হন প্রদীপ মণ্ডল, দেবদাস মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল নামে তিনজন। ওই ঘটনায় তাঁরা খুনের অভিযোগ তুললেও চার্জশিট থেকে বাদ পড়ে শেখ শাহজাহানের নাম। সেই খুনের অভিযোগ সামনে এনে হাইকোর্টে নতুন করে সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সুপ্রিয়া মণ্ডল জানান, তিনি এফআইআর করেছিলে ন্যাজাট থানায়। তদন্তের পর সেই মামলা থেকে শাহজাহান সহ মোট ২৫ জনের নাম বাদ পড়ে চার্জশিট থেকে। আর পদ্মা মণ্ডলের করা মামলায় তদন্ত করে সিআইডি। সেই মামলার চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল মইজুদ্দিন মোল্লা ও জাভেদ আলি মোল্লার। পরে তাঁরা জামিন পেয়ে যান। সেখানেও বাদ পড়ে শাহজাহানের নাম। পুরো অভিযোগ শোনার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, অভিযোগ খুব ভয়ঙ্কর। বিচারপতি বলেন, “এখনও পর্যন্ত যা শুনলাম, তাতে মামলা অন্য কোনও এজেন্সির হাতে দেওয়া জন্য যথেষ্ট কারণ আছে”। সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। ইভিএম নিউজ