দেশ
ব্যুরো নিউজ, ৬ নভেম্বর: শুধু বাংলা নয়! বহু দেশ আলোকিত করেছেন 'আলোর জন্মদাতা'


আলোর শহর চন্দননগর। চন্দননগরের আলোর আখ্যান কারও অজানা নয়। কিন্তু সেখানকার আলো জনক কাকে বলা হয় জানেন? 
রবিবাসরীয় ইডেনে উচ্ছ্বাস

হাওড়া ব্রিজের আলো থেকে শুরু করে আইফেল টাওয়ার, নানা প্রান্তে ছড়িয়ে তাঁর হাতে তৈরি আলো। মস্কো, ব্রিটেন, আমেরিকা ইংল্যান্ড, ইতালি, পৃথিবীর বহু দেশ আলোকিত করে রেখেছেন শিল্পী শ্রীধর দাস।

শিল্পী শ্রীধর দাস জানান, ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আলো তৈরির প্রতি তাঁর বিশেষ ঝোঁক। চন্দননগরে প্রথম তিনি নিয়ে আসেন টর্চের ল্যাম্প দিয়ে তৈরি আলো। তখনই প্রথম কলেজ স্কোয়ারে দুর্গাপুজোয় জলের নিচে আলো চাক্ষুষ করেছিল সকলে। শ্রীধর বাবু ১৯৫৪ থেকে আলো তৈরির সঙ্গে যুক্ত। আলোর তৈরি গাছ, যা চন্দননগরে ঐতিহ্য, তা-ও প্রথমবার তৈরি করেন তিনি।

শ্রীধর বাবুর ঘরের দেওয়াল জুড়ে রয়েছে দেশ-বিদেশের খ্যাতির চিহ্ন। বর্তমানে বার্ধক্য জনিত কারণে নিজের হাতে আলো তৈরির কাজ বন্ধ। শেষ বার দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আলো তৈরি করার জন্য ডাক পেয়েছিলেন। বর্তমান সময় যত আলো দেখতে পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগই চিনা আলো। যা তৈরি করেছেন শ্রীধর বাবু।

কখনও ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে নতুন আলো তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, কখনও বা বাঁশের কঞ্চি কেটে তার মধ্যে বাল্ব লাগিয়ে আলোর ডিজাইন করে চমক দিয়েছেন। চন্দননগরের আলোর প্রসঙ্গ যতবার আসবে, তত বারই আলোর জন্মদাতা হিসাবে নাম উঠে আসবে শ্রীধর দাসের। সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে লেখা। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর