ব্যুরো নিউজ, ৩ নভেম্বর: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক বিকাশ রঞ্জন
বৃহস্পতিবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি ছিল। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই সমস্ত মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তরিত করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন সুপ্রিমকোর্ট। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে যাবতীয় রিপোর্টসহ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ করতে সিবিআইকে ৩ থেকে ৬ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে বলে অনুমান। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে মুখ্যমন্ত্রী | কি নিয়ে আলোচনা?
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, কোন বক্তব্য না শুনেই সিঙ্গেল বেঞ্চ বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলি হোল ঠিক আদেশ করার মতো। ৪-৫ বছর চাকরি করার পর বলা হল তারা আর চাকরি করতে পারবেন না ও স্কুলেও ঢুকতে পারবেন না। এই শুনে বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী বলেন মূল নিয়মে যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তবে এক হোক বা ১০ যত বছরই চাকরি করে থাকুক না কেন তা খারিজ হয়ে যেতেই পারে। তারা আরও বলেন এসএসসি আগে থেকেই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিল নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে তাই তারা কয়েকজনের চাকরি বাতিল করেছে।
তখন আইনজীবী কুনাল জানান, ৯ তারিখ নোটিশ দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়। তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে যেতেই পারে। তাছাড়া সেই সময়কার আধিকারিকেরা এখন জেলে। বর্তমানে যারা আছেন তারা এখন সবাই নতুন কোন বিষয়ে তাদের অতটা জ্ঞান নেই। এই কথা শুনে বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী বলে তাহলে এটা তো ঠিক যে কিছুটা হলেও দুর্নীতি হয়েছে। আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট যে অন্তর্বর্তী রায়গুলি দিয়েছে, সেগুলি তুলে নেওয়া হোক। ১ মার্চ হাই কোর্টের নির্দেশে যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তেমনই থাক। মেধাবী, ও যোগ্যরা এতে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ করা হোক। ইভিএম নিউজ