ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৫ এপ্রিলঃ কাঠফাটা রোডে রাস্তায় বেড়িয়ে সকলেরই প্রায় নাজেহাল অবস্থা। বাড়ছে ক্লান্তি। এই গরমে ঠাণ্ডা লস্যি কিংবা ঠাণ্ডা কোনও সরবত হলে তো মন্দ হয় না। আর এর মধ্যে হালকা নুন ছিটিয়ে শশাও কিন্তু স্বস্তি দিতে পারে আপনাকে অনেকটাই। পাওয়া যায় বাড়তি এনার্জি। শরীরকে রাখে ঠাণ্ডা।
তবে এবার জেনে নেওয়া যাক শশার নানা উপকারিতা
খাবারের পাতে হোক কিংবা দই, মরিচ সহযোগেই হোক, শশা খেতে সকলেরই দারুন লাগে। যা শরীরের ভিটামিন, খনিজের ঘাটতি দূর করতে সাহায্য করে। বাজারে সারা বছরই দেখা মেলে এটির। ওজন কমাতেও শশার জুরি মেলা ভার। যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। তরমুজের মতোই শশাতেও রয়েছে প্রচুর জল। গরমে শশা শরীরে জলের ঘাটতি মেটায়। শশাতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো কয়েকটি খনিজ উপাদান। যা অনেক সহজে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। গরমে জলের অভাব মেটাতে সাহায্য করে এই ফলটি। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে এটি যেমন সাহায্য করে, তেমনি আরও কয়েকটা বিশেষ বিশেষ গুণ রয়েছে এই শশাতে। সেগুলি হল-
১। অ্যান্টি- অক্সিডেন্টঃ দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগ শরীরের কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। ফলে, ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো অনেক জটিল রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে অজান্তেই। শশাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক বেশি। তাই এই স্ট্রেস জনিত সমস্যা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। পাশাপাশি শশাতে থাকে বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেশিয়াম যৌগ যা দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করতেও সাহায্য করে।২। ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ শশাতে থাকা কিউকারবিটানিস ক্যানসার প্রতিরোধক । যা ক্যানসারের জীবানুকে নষ্ট করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে।
৩। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রকঃ ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম শশাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। নিয়মিত শশা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ৪। হাড় ক্ষয় রোধকঃ বলা হয়, ৩০ এর পর থেকেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষমতা কমতে থাকে । হাড় ক্ষয়ে যায়। হাঁটার সমস্যা দেখা যায় প্রায় সব মানুষদের মধ্যে। হাড়ের জন্য ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই ভিটামিন ভরপুর পাওয়া যায় শশাতে। হাড়ের ক্ষমতা বাড়াতে শশা খুবই উপকারী। নিয়মিত ভাতের সঙ্গে স্যালাড হিসাবে শশা খেলে হাড় মজবুত হয় তাড়াতাড়ি। হাড়ের জোর, টিস্যুর ক্ষমতা বাড়াতে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে অবশ্যই শশা রাখুন খাদ্য তালিকায়।৫। ওজন কমাতেও সাহায্য করেঃ বর্তমানে স্বাস্থ্য নিয়ে কম বেশি সকলেই সচেতন। তাই ওজন ঝরানো যাদের লক্ষ্য তাদের জন্য শশার উপকারিতা অনেক। শশাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শশা খেলে ওজন সহজে বাড়ে না। শুধু শশা নয়, শশা ভেজানো জলও অনেক সময় কাজে আসে এই ওজন কমাতে।