সন্দীপ মুখার্জি, কে.পি অ্যাস্ট্রোলজার, ৬ জুনঃ (Latest News) রুদ্রাক্ষ সৃষ্টির  কাহিনী

সোমবার বলতেই আমাদের যেটা প্রথম মাথায় আসে তা হলো দেবাদি দেব মহাদেব এর কথা। পুরাণ মতে মহাদেবের অশ্রুবিন্দু থেকে কি ভাবে মহারুদ্রাক্ষ বৃক্ষের জন্ম হয় তারই গল্প শুনুন।

ভগবান নারায়ণকে মহর্ষি নারদ একবার নিবেদন করলেন যে, হে ভগবান! আপনি যে রুদ্রাক্ষের মহিমার এত বর্ণনা দিলেন,এখন আমায় অনুগ্রহ করে সেই রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে বলুন এবং রুদ্রাক্ষ এত লোক পুজ্য হল কেন তাও আমি জানতে বড়ই আগ্রহী।

রিসি নারীদের এই কথা শুনে নারায়ন বললেন, বৎস! তুমি আমাকে আজ যে প্রশ্ন করলে, একবার কৈলাসবাসিন ভগবান রুদ্রদেবকে ঠিক এরূপ প্রশ্নই করেছিলেন। ভগবান রুদ্রদেব কার্তিককে যেরূপ বলেছিলেন আমিও তোমাকে ঠিক সেরূপই বলছি, তুমি শুনতে থাকো।

পুরাকালে ত্রিপুরা নামে সর্বদুর্জয় এক দৈত্য জন্মেছিল। ব্রহ্মা,বিষ্ণু প্রভৃতি দেবগন তার নিকট পরাজিত হয়ে রুদ্র দেবের নিকটে আসে দৈত্যকে বধ করবার প্রার্থনা নিয়ে। ভগবান রুদ্র এই প্রার্থনা শুনে ত্রিপুরা অসুরকে বধ করার অভিপ্রায়ে অঘোর নামে এক ভীষণ সর্ববিদ্যা ময় দিব্য অস্ত্রের স্মরণ করলেন। ভগবান রুদ্র সেই অঘোর অস্ত্রের চিন্তা করে সহস্ত্র বছর উন্মীলিত নয়নে অবস্থান করেছিলেন; ক্ষণকালের জন্যও চক্ষুর নিমেষ ত্যাগ করেননি। এই কার্যকারণে তার চক্ষু আহত হওয়ায়, চক্ষু থেকে জলবিন্দু পতিত হয়। সেই অশ্রুবিন্দু থেকেই সর্বলোকের হিতকামনায় মহারুদ্রাক্ষ বৃক্ষের জন্ম হয়। এই রুদ্রাক্ষ 38 প্রকারের। তারমধ্যে ভগবানের সূর্যরূপ নেত্র থেকে দ্বাদশ প্রকার পিঙ্গলবর্ণের, চন্দ্ররূপ নেত্র থেকে ষোড়শ প্রকার শ্বেতবর্ণ এবং অগ্নিরূপ নেত্র থেকে দশ প্রকার কৃষ্ণবর্ণ রুদ্রাক্ষের সৃষ্টি হয়। ইহাদের ভিতর শ্বেতবর্ণ রুদ্রাক্ষ ব্রাহ্মণদিগের জন্য, রক্তবর্ণ রুদ্রাক্ষ ক্ষত্রিয়দের জন্য মিশ্রবর্ণ রুদ্রাক্ষ বৈশ্যদের জন্য ও কৃষ্ণবর্ণ রুদ্রাক্ষ শূদ্রদের জন্য ধারণীয়। তবে বৈশ্যগণও কৃষ্ণবর্ণ রুদ্রাক্ষ ধারণ করতে পারে। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর