ইভিএম এক্সক্লুসিভ, ২৪ মেঃ স্থানঃ

জে ডবলু ম্যারিওট মারকুইস হোটেল, দুবাই

কাল ঃ ২০২৩ এর মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ কোন একটা দিন।

পাত্রঃ চারজন চিনা ব্যক্তি, দুজন অথবা তিনজন রাশিয়ান এবং একজন ইতালিয়ান

এবার একটা নাম বলছি। বুয়ো জিয়া আঙ্কুয়ান বু- এই খটোমটো দাঁত ভাঙ্গা নামটি আমাদের কাছে প্রায় অজানা। অসলে এটি হল চিনের গোপন গোয়েন্দা সংস্থা। নামটির ইংরেজিতে অর্থ করলে জানায়, ‘Ministry of state security’. সোজা বাঙ্গালায় বললে, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রক নামে জাতীয় হলেও এই এমএসএসের কাজকর্ম ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

দুবাইয়ের হোটেলে ওইদিন যে চিনারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে অত্যন্ত দুজন এই গোয়েন্দা সংস্থার অত্যন্ত উচ্চপদস্থ অফিসার। আর একজন ছিলেন সিরিয়ায় চিনা দূতাবাসের ডেপুটি মিলেটা্রি অ্যাটাশে। আর রুশ নাগরিক যারা ছিলেন তাদের মধ্যে একজন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধে অবস্থিত রুশ দূতাবাসে এক কূটনীতিক এবং আর একজন রুশ গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপদস্থ অফিসারস।

ওই গোপন বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু অত্যন্ত গোপন রাখা সত্ত্বেও কোনোভাবে তা ফাঁস হয়েছিল। সম্ভবত যে ইতালীয় ব্যক্তি ওই বৈঠকে ছিলেন যিনি দু’পক্ষের মধ্যে মধ্যস্ততা করেছিলেন তিনি ইতালির গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বৈঠকের যাবতীয় বিষয়বস্তু ফাঁস করে দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল চিনের তাদের মধ্যে একমাত্র ওই ইতালীয় ব্যক্তির নামই প্রকাশ্যে এসেছে। তার নাম পাওলো স্কাবারেনী। বয়স ৪৮। গত এই ভদ্রলোকের সঙ্গে বেশ কয়েকজন চিনের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন ইতালির লাজিয়ো শহরে তার নিজস্ব ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে এইরকমই শোনা গিয়েছে। গত ১৭ মে তাকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে? রাতে তিনি যখন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে লিফটে উঠে ছিলেন, সেই সময় লিফটের মধ্যেই তাকে গুলি করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইতালি পুলিশ। এবং সন্দেহ করা হচ্ছে, চিনা গোয়েন্দা বিভাগ লাজিয়োর কোনও স্থানীয় মাফিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে এই হত্যা কাণ্ড ঘটিয়েছে। অর্থাৎ বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি দিয়েছে চিন। যদিও এটা ইতালির গোয়েন্দা সংস্থার অনুমান।

তবে যাই হোক, বৈঠকের বিষয়বস্তু বেশ চমকে দেওয়ার মতো। রুশ চিন দুইপক্ষের কাছেই তাদের নিজের নিজের কাছের সরকারের কিছু নির্দেশিকা ছিল। সেই অনুসারেই বৈঠকে অলোচনা হয়েছিল। ইউক্রেন রাশিয়াকে চিন গোপনে অস্ত্র সাহায্য চালিয়ে যাবে, শুধু তাই নয়, রাশিয়া যাতে বিদেশ থেকে আরও স্বেচ্ছাসেবক সৈন্য আরও পাঠাতে পারে সেইজন্য অর্থ সাহায্য করবে চিন। এটা ঠিক হয় এই বৈঠকেই। এছাড়াও ওই বৈঠকে আরও একটি মারাত্মক ব্যপার সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয় যে রুশ চিন বাণিজ্যর পরিমাণ অতিরিক্ত পরিমাণে বাড়িয়ে তোলা হবে। চিনের সাঙ্ঘাই বন্দর থেকে জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ অসামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হবে রাশিয়ার ফ্লাদিভস্তক বন্দরে। এবং সেই সব জাহাজে বোঝাই করা অসামরিক পণ্যয়ের মধ্যে লুকিয়ে সমরাস্থ সরবরাহ করা হবে।

ইতালীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই রিপোর্ট দিয়েছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সিআইএর কাছে। মে মাসের গোড়াতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারজিনিয়া প্রদেরশের ল্যাঙলে শহরে অবস্থিত সিআইএর হেড কোয়াটারে বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছোয়। তারপরই দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী নজর দারি বাড়িয়ে তোলে। উত্তর চিন সাগরে জাপান বাড়তি নজরদারি শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রুশ বানিজ্য মন্ত্রক ট্রেমলিন থেকেই সরকারিভাবে ঘোষণা করেছেন যে চলতি বছরে রাশিয়া অ চিনের মধ্যে যে বানিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২০০ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের সমতুল্য অর্থাৎ ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলায়ের সমতুল্য। ভারতীয় মুদ্রায় হিসাব করলে মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড় হবে। হথাত করেই রুশ- চিন বানিজ্যের এই বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি যা রীতিমতো সন্দেহজনক। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া নেওয়া করবে দুই দেশ। ঘটনাক্রম এই সন্দেহই দৃঢ় হয় যে ইতালীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া রিপোর্ট সম্ভবত সঠিক। অর্থাৎ পণ্যের আড়ালে চিনা অর্থ নেবে রাশিয়া। (EVM News) ভারতীয় নাগরিকদের উপর কি CAA-এর কোন প্রভাব পড়বে?

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর