অমিত কৃষ্ণ পাল, ৩০ জুলাইঃ এ কেমন মুখ্যসচিব? কোথাও বিদেশ থেকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ, তো কোথাও আবার তৃণমূলের প্রার্থীকে ভুয়ো জাতিগত প্রশংসাপত্র প্রদান, বিরোধী প্রার্থীদের নথি বিকৃত করে মনোনয়নপত্র বাতিল, আবার কোথাও শাসক দলের পক্ষপাততুষ্ট হয়ে ভোট গণনায় কারচুপি, ভোট লুটে বাধা না দেওয়ার একের পর এক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা বিডিওদের বিরুদ্ধে। এবার সেই বিডিওদেরই পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী।

সম্প্রতি সমস্ত জেলার জেলাশাসক,মহকুমা শাসক এবং বিডিওদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের মাধ্যমে কৃষ্ণর বার্তা, ” আতঙ্কিত হবেন না। কাজ করে যান। প্রয়োজনে সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের আইনি পথে লড়াইয়ের জন্য সাহায্য করা হবে”। এরপরই রাজনৈতিক মহলে উঠেছে নিন্দার ঝড়। প্রশ্ন উঠেছে, ব্যক্তিগত ভাবে যে সমস্ত বিডিওরা নিজেদেরকে সমস্ত অনৈতিক কাজের সঙ্গে লিপ্ত করেছেন, তাদেরকে সাহায্য করবার জন্য জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কোষাগারকে ধ্বংস করে রাজ্য সরকার কেন লড়াইয়ের জন্য অর্থ খরচ করবে? তবে কি কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ রয়েছে? শাসক তৃণমূল কিংবা আমলা মহলের একাংশের মদতেই কি বিডিওরা এই ধরনের অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন? না কি শাসক দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবার পুরস্কার পাচ্ছেন বিডিওরা?

গত শুক্রবারই শাসক দলের প্রার্থীকে ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে এবং বিরোধী দলের প্রার্থীর শংসাপত্র বাতিল করে, তৃণমূল প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতাবার ষড়যন্ত্রের দায়ে উলুবেরিয়ার এসডিও শমীক কুমার ঘোষ এবং উলুবেরিয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দেকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতে দাঁড়িয়েই নিজের ভুল স্বীকার করতে দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিডিওকে। কারচুপির অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার জগাছার বিডিওর বিরুদ্ধে। কারচুপি করে শাসকদলের প্রার্থীকে ভোটে জেতানোর অভিযোগ রয়েছে ঝালদার বিডিও এবং যুগ্ম বিডিওর বিরুদ্ধেও। এহেন অবস্থায় রাজ্যের মুখ্য সচিবের অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আমলাতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। ওয়াকিবহাল মহলেও তাই ব্যঙ্গের সুর, ” পঞ্চায়েত ভোট ফুরোলো, আমলাদের মেরুদন্ড মুড়োলো। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর