ব্যুরো নিউজ, ৮ জানুয়ারি: মিড-ডে মিলের চালে ভর্তি পোকা, সেই চাল দিয়েই রান্না…
হুগলির তারকেশ্বরের চাপাডাঙা এলাকার সদ্দার পাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তখন চলছে রান্নার প্রস্তুতি। চাল ধুয়ে সবে মাত্র ভাত বসাতে যাবেন, তখনই এক অভিভাবকের চোখে পড়ে বিষয়টি। চালে গিজগিজ করছে পোকা, আর সেই চাল ধুয়েই ভাত বসাচ্ছেন রাধুনি। আর সেই পোকা ধরা চালই শিশুদের খাওয়ানোও হবে। ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দেন ওই অভিভাবক।
‘শওকত-শাহজাহানদের থেকে সাবধান থাকুন, সজাগ-সতর্ক হোন’ | সংখ্যালঘুদের বার্তা নওশাদের
অভিভাবকরা জানান, সোমবার সকালে সন্তানকে স্কুলে ছাড়তে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাদের নজরে পড়ে ঘটনাটি। এরপরই স্কুলের সামনে জড়ো হন অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা। রান্নাঘরে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ পোকা ধরা চাল খেয়ে তাদের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্কুলের দিদিমনির বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ অভিভাবকদের। স্কুলের দিদিমনির অপসারণ এবং মিড ডে মিলের যে খাবার দেওয়া হয় তা ব্লক প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে হবে, তারপরেই খোলা হবে স্কুল। এই দাবি তোলেন অভিভাবকরা। ঘটনায় দিদিমণিকে ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
স্কুল শিক্ষক বলেন, “এগুলো বাদ দিয়েই খাওয়ানো হয়। আমাদের কাছে ভাল চাল আসে। আমার দরকার পঞ্চাশ কেজি। দেড়শো কেজি চাল দিয়েছে। বেশি হয়েছে। সেই কারণেই কিছু চাল খারাপ হয়ে গেছে।”