ব্যুরো নিউজ, ১৩ নভেম্বর: মাত্র ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ বার কেঁপে উঠলো আইসল্যান্ড
ঘড়িতে সময় ধরলে সেই সময় হবে ১৪ ঘণ্টা আর যদি কম্পনের পরিমান ধরা যায় তাহলে তা হবে ৮০০ বার! ভাবা খুব কঠিন হলেও এইটাই সত্যি। মাত্র ১৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে ৮০০ বার ভুমিকম্পের ফলে কেঁপে উঠল আইসল্যান্ডের দক্ষিন পশ্চিমের রেকেনেস উপদ্বীপ। অনেকে মনে করছে এর পিছনে রয়েছে অগ্নুৎপাতের পূর্বাভাস। এই কারনে শুক্রবার আইসল্যান্ডে জরুরী সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রেকনেস উপদ্বীপের অবস্থান হোল রাজধানি রেকজাভিক থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে। তার ৩ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গ্রিনদাভিক নামের শহর। সেই শহরে ৪ হাজার লোকের বসবাস। সেখান থেকে সবাইকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সরকারি সুত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ধরা পড়েছে ৫.২।
হাওড়ার ফোরশোর রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত অক্টোবরের শেষের থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার বার কেঁপে উঠছে রেকেনেস উপদ্বীপ। ভূপৃষ্ঠের কম বেশি ৫ কিলোমিটারের নীচে এক জায়গায় ম্যাগমা জমে গেছে। সেই ম্যাগমা বাইরে চলে এলেই অগ্নুৎপাত শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। তবে আবহবিদেরা অনুমান করেছেন, তার জন্য কয়েক ঘণ্টা পর্যাপ্ত নয়, লাগতে পারে কয়েক দিন।
গোটা ইউরোপের মধ্যে সব থেকে বেশি অর্থাৎ প্রায় ৩২ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আইসল্যান্ডে। এর আগেও রেকেনেস উপদ্বীপে অনেকবার অগ্নুৎপাত হয়েছে তবে তা জনবসতি এলাকা থেকে অনেক দূরে হয়েছে। ২০২১ সালে ৩ বার অগ্নুৎপাত হয় তবে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি কারন যেখানে এটি সংগঠিত হয়েছিলো সেই এলাকার আশেপাশে কোন জনবসতি ছিল না।
তবে এখন যেখানে সবচেয়ে বেশি কম্পনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানেই যদি জ্বালামুখ তৈরি হয় তাহলে সেই অগ্নুৎপাতের লাভা রেকেনেসের দক্ষিন- পূর্ব ও পশ্চিম দিকে গরিয়ে গেলেও, গ্রিনদাভিকের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। ইতিমধ্যেই গ্রিনদাভিকের উত্তর থেকে দক্ষিনে যাওয়ার একটি রাস্তা ভেঙ্গে পরায় যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তার ঝুঁকি না নিয়েই সেখানে টহলদারি জলযান পাঠানো হয়েছে। গ্রিনদাভিক ও রেকেনেস উপদ্বীপের কিছু জায়গায় খোলা হয়েছে আশ্রয় শিবির ও সাহায্য কেন্দ্র। ইভিএম নিউজ