মাঝ

ব্যুরো নিউজ, ১৩ জানুয়ারি: মাঝ গঙ্গায় ৫ ঘণ্টা পলিতে আটকে যাত্রীসহ লঞ্চ

শুক্রবার গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে মুরিগঙ্গায় মাঝপথে যাত্রীসহ চড়ে আটকে গেল ভেসেল। ওই ভেসেলে ছিল ৬০০ পুণ্যার্থী। লঞ্চটি দুপুর ৩ টে নাগাদ ৮ নম্বর লটের থেকে ছেড়ে কচুবেড়িয়া যাচ্ছিলো। মিনিট ১৫ যাওয়ার পরেই মাঝ গঙ্গায় আটকে যায় লঞ্চ। বেশ কিছুক্ষন আটকে থাকার পর যাত্রীরা চিৎকার শুরু করে দেয়। শিশু- কিশোরেরা জুড়ে দেয় কান্নাকাটি। তাঁরা পানীয় জল ও খাবারের জন্য আকুতি জানায়। খবর পেয়ে বেশ কিছুক্ষন পর বিপর্যয় দলের সদস্যরা পানীয় জল ও শুকনো খাবার দিলেও তা সকলের হাতে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ। প্রশাসন একটি ভেসেল নিয়ে গিয়ে ৩০০ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিরা রাত ৮ টা পর্যন্ত আটকে থাকে ওই ভেসেলে। রাত্রি ৮ টা নাগাদ জোয়ারের জল বাড়লে ওই লঞ্চটি বাকি ৩০০ যাত্রী নিয়ে কচুবেড়িয়া ফেরে।

রঞ্জি: বাংলার পেসে বিধ্বস্ত উত্তরপ্রদেশ

গঙ্গাসাগর মেলার প্রথম দিনেই বিঘ্ন ঘটে ব্যাপক কুয়াশার কারণে। সকালে প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল যাত্রী পারাপার। এরপর ওই লঞ্চ আটকে যাওয়ার কারণ হিসাবে জানা যায় বছর দশেক আগে ২০১৩ সালে সেখানে বাংলাদেশের একটি জাহাজ দুবে যায়। তার উপর জমতে থাকে পলি। সৃষ্টি হয় বালির চড়। সেই চড়েই আটকে গিয়েছিল ভেসেল। ওই পারাপারের পথে জমে যাওয়া বিপুল পলি, ২৯ কোটি টাকা খরচা করে রাজ্য সরকার ড্রেজিং করে। তার পরেও কেন ভেসেল আটকাল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে ওই ভেসেলের বেশ কয়েকজন দীর্ঘ সময় আটকে থাকার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে এছাড়াও গঙ্গাসাগরে হঠাৎই ২ পর্যটক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁদের এয়ারলিফট করে আনা হয় কলকাতায়। বিহারের বাসিন্দা ৫৫ বছরের সুমিত্রা দেবিকে প্রথমে হাওরার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে নামানো হয়। সেখান থেকে আনা হয় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে। পরে স্বপ্না মুখোপাধ্যায় নামে আরও একজনকে উড়িয়ে এনে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর