ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২৫ জুনঃ (Latest News) প্রয়াত হলেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র বুড়ো ঘোড়া বাপিদা ওরফে তাপস দাস।দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। আর তাঁর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সঙ্গীত জগতের বহু নামজাদা তারকা থেকে সাধারণ শ্রোতারা। কিন্তু অবশেষে তিনিও হার মানলেন। থামল তাঁর জীবনযুদ্ধ। নিভল মহীনের ঘোড়াগুলির আর একটি বাতি। চলে গেলেন বাংলা সঙ্গীত জগতের আর একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র, সবার প্রিয় বাপিদা।

বাংলা গানের জগতে একসময় বিপ্লব ঘটিয়েছিল ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’। সাতের দশকের উত্তাল বাংলায় উত্থান হয়েছিল এই একদল যুবকের। যারা গান গেয়ে দিনবদলের স্বপ্ন দেখেছিল। মাঝে পেরিয়ে গেছে কয়েক দশক। তবু বিন্দুমাত্র কমেনি সেই ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা। এরমধ্যেই এক এক করে বিদায় নিয়েছেন দলের সদস্যরা। রয়ে গিয়েছিলেন বুড়ো ঘোড়া তাপস দাস, ওরফে সঙ্গীত জগতের প্রিয় বাপিদা। আর শেষমেশ রবিবার বিদায় নিলেন তিনিও।

জানা গিয়েছে, লাং ক্যানসারের তৃতীয় স্টেজে ছিলেন তাপস দাস। টাকার অভাবে ঠিকঠাক চিকিৎসাও করাতে পারছিলেন না এমন সময় তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান বর্তমান সময়ের একাধিক বাংলা ব্যান্ডের গায়করা। ফসিলস্‌-এর রূপম ইসলাম থেকে শুরু করে ক্যাকটাসের সিধু, লক্ষ্মীছাড়ার গৌরব চট্টোপাধ্যায়—কমবেশি ব্যান্ড জগতের সকলেই তহবিল সংগ্রহে নেমে পড়েন। আর এই কাজে বেছে নেন সোশ্যাল মিডিয়াকেই। তাঁরা সকলের কাছে আবেদন করেন বাপিদার পাশে দাঁড়ানোর জন্য। শুরু হয়েছিল চিকিৎসাও।কিন্তু থামল তাঁর লড়াই।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে তৈরি হয়ে বাংলার প্রথম রক ব্যান্ড। মাঝে ৪৭ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। আজও এই ব্যান্ডের গানগুলির জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমেনি।

বাংলা সঙ্গীত জগতের এই ক্রান্তিকারী যুগ যাতে না থামে সেই জন্যই রূপম ইসলাম থেকে শুরু করে সিধু অর্ক সহ গৌরব চট্টোপাধ্যায় সকল বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীরা সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন। তাঁরা সকলের কাছে আবেদন করেন তাপস দাসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। শুরু হয় ক্রাউড ফান্ডিং।যদিও এরপর বিশেষ ক্রাউড ফান্ডিং করতে হয়নি। সরকারের তরফে তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়। কিন্তু সেই লড়াই বেশিদিন জারি রইল না। অবশেষে আমাদের সকলের থেকে চিরবিদাই নিলেন ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র শেষ ঘোড়া(EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর