ইভিএম নিউজ ব্যুরো, ২২ মার্চঃ পেশা নয়, গুরুত্ব দিয়েছিলেন তাঁর নেশাকে। আর তাই বোধয় মহাকাশ গবেষক না হয়ে, হলেন একজন ক্রিকেটার। ভারতীয় সেই ক্রিকেটারের নাম আভিষ্কার সালভি। জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পিএইচডি করেছিলেন। আর এমন শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনায়াসে চাকরি করতে পারতেন নাসা অথবা ইসরোর মতো কোন সংস্থায়। করতে পারতেন মহাকাশ নিয়ে গবেষণা। কিন্তু সালভি বেছে নিলেন ক্রিকেটের ২২ গজকেই। কারণ তাঁর ভালোলাগা তো এই ২২ গজের ওপরে থাকা স্ট্যাম্পগুলোকে উড়িয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখানো।
ছোটবেলা থেকেই তাঁর ভালোবাসা জন্মায় ক্রিকেটের প্রতি। তাঁর প্রথম পছন্দ বোলিং হলেও প্রয়োজনে ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকাতেও সাবলীল তিনি। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হারের পর ঐ বছরই বাংলার মহারাজ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে যায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেই সময় দলে সুযোগ দেওয়া হয় একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে। সুযোগ এসেছিলো সালভির কাছেও। ভারতের জার্সি গায়ে মোট ৪ টি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সাফল্যের ঝুলিতে রয়েছে ৪ টি উইকেট। গড় তিরিশ। দিল্লির হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১১-র আইপিএলেও নজরকাড়া পারফর্মেন্স রয়েছে আভিস্কার। দীর্ঘদিন খেলেছেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটও।
অতীতে উচ্চশিক্ষিত বহু খেলোয়াড়কেই খেলোয়াড় জীবন বেঁছে নিতে দেখা গিয়েছে। এই তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবির(এম.বি.এ) তেমনই রয়েছেন ভিভিএস লক্ষণ (এম.বি.বি.এস), অনিল কুম্ব্লে ( বি.ই ,মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (বি.টেক,আই.টি) এমনকি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার সক্রেটিসও (মেডিকেল ডিগ্রী)। তবে উচ্চশিক্ষার নিরিখে সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন পেসার আভিস্কার সালভি।