রাজীব ঘোষ, ৫ সেপ্টেম্বর: মনের শান্তির খোঁজে ছুটে যান পাহাড়ি গ্রামে। দিনরাত ব্যস্ততার মধ্যে মন যেন হাঁপিয়ে ওঠে। মনে হয় সমস্ত কিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই।
চরম ব্যস্ত জীবনে একটু শান্তির খোঁজে নির্জন নিরিবিলিতে ছুটে চলে যেতে চান সকলেই। দিনরাত ব্যস্ততার মধ্যে মন যেন হাঁপিয়ে ওঠে। মনে হয় সমস্ত কিছু ছেড়েছুড়ে দিয়ে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই। এটাই স্বাভাবিক। আর তাই পূজোর লম্বা ছুটিতে সমস্ত ব্যস্ততাকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে ছুটে চলে যান কোনও সবুজে ঘেরা পাহাড়ি গ্রামে। যেখানে প্রকৃতির মধ্যে কটা দিন একেবারে নিরিবিলিতে উপভোগ করতে পারেন উজাড় করে দেওয়া অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে। (Nature Beauty) এবার পুজোয় একটু অফবিট পাহাড়ি গ্রামকে খুঁজে নিন। উত্তরবঙ্গের রেলি নদীর অববাহিকায় সামালবং অঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চারখোল। এই চারখোল গ্রামে মূলত লেপচাদেরই বাস।
ঘুরে দেখুন ‘ওড়িশার কাশ্মীর’
পাহাড়ি এই গ্রামটিকে ঘিয়ে রয়েছে পাইন, ওক, শাক, সাইপ্রাস ও গুড়াস জাতীয় উদ্ভিদ। এখান থেকেই দেখা যাবে তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত চারখোল। পাহাড়ি গ্রামে থেকে সেখানকার মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে হলে অবশ্যই ঘুরে যেতে হবে চারখোল থেকে। কালিম্পং থেকে চারখোলের দূরত্ব ৩৪ কিলোমিটার। আবার লোলেগাঁও থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে এই চারখোল গ্রাম। বিরাট একটা খরচ করতে হবে না। একেবারে বাজেট ফ্রেন্ডলি ট্যুর করতে পারেন (Budget Friendly Tour)
কিভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি গামী যে কোনও ট্রেনে চেপে বসুন। নামুন এনজেপি স্টেশনে। সেখান থেকে অটো, টোটো বা কোনও ছোট গাড়িতে করে পৌঁছাতে হবে সালুগাড়া। এরপর সালুগাড়া থেকে শেয়ার গাড়িতে করে যেতে পারবেন চারখোল। এছাড়াও কালিম্পং থেকে শেয়ার গাড়িতে করে সোজা চারখোল পৌঁছতে পারেন।
কোথায় থাকবেন?
চারখোলে বেশ কিছু রিসর্ট বা হোমস্টে রয়েছে। সেই সমস্ত হোমস্টেতে খুব কম খরচের মধ্যেই থাকতে পারেন। জনপ্রতি থাকা-খাওয়া নিয়ে কমবেশি ১২০০ টাকার মধ্যেও হোমস্টে পেয়ে যাবেন।
গ্রামের সবুজ পরিবেশ আপনার ছুটি কাটানোর এই আমেজকে আরও স্বর্গীয় করে তুলবে। প্রকৃতির কোলে পাহাড়ি গ্রামে কটা দিন কাটিয়ে আসলে সারা বছরের দুর্দান্ত এনার্জি পেয়ে যাবেন। ইভিএম নিউজ