বিশ্ব

রাজীব ঘোষ, ১৫ সেপ্টেম্বর: ভারত To ইউরোপ ভায়া আরব | বিশ্ব বাণিজ‍্যে ভারত

মূল কথা হচ্ছে বাণিজ্য। দেশীয় অর্থনীতির উন্নয়ন করতে গেলে আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের রপ্তানি বাড়াতেই হবে। আর স্বাভাবিক নিয়মে বাণিজ্যে রপ্তানি বাড়লে দেশের অন্দরে নয়া শিল্প গঠন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি হবে পাশাপাশি যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দেশবাসীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। আর সমস্ত মানুষের হাতে কাজ থাকলে স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশ বা সমাজের আর্থিক উন্নয়ন সম্ভব।

G-20 বৈঠক বসছে ভারত মন্ডপমে | কী রয়েছে এর অন্দরে?

সবে মাত্র শেষ হয়েছে G-20 শীর্ষ সম্মেলন। সারা বিশ্বের G-20 ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও শীর্ষ নেতারা রাজকীয় আয়োজনের মাধ্যমে দিল্লিতে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মানচিত্রে G-20 সম্মেলনে ভারত যথেষ্ট প্রশংসা ছিনিয়ে নিয়েছে। আর সেটা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে (International Media) একেবারে ফলাও করে ছাপা হয়েছে। জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বিশ্বের অনুন্নত রাষ্ট্রগুলির সমস্যা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু এবারের G-20 Summit-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি ভারতে নয়া দিগন্তের সূচনা করতে পারে, সেটি হলো, নয়া ইকনমিক করিডর (Economic Corridor)

ভারত-আরব-ইউরোপ এই নতুন করিডর স্থাপনের চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স, প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন আল সাউদ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে এই নতুন করিডরের কথা ঘোষণা করেছেন। আর G-20 সামিটে চুক্তি হওয়া মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপে পৌঁছে যাওয়ার ভারতের এই নয়া ইকনমিক করিডর বাস্তবায়িত হলে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ভারত ইউরোপ মহাদেশে পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। আর এই করিডর বাস্তবায়িত হলে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড করিডরকে টেক্কা দিতে চলেছে ভারত।

প্রশ্ন উঠছে, অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে পারে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড করিডর? ফলে স্বাভাবিক অর্থে চীন ও পাকিস্তানের কাছে যা নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত নতুন দিগন্তের সূচনা করতে চলেছে। ভারত-আরব-ইউরোপ এই নয়া ইকনমিক করিডর রেলপথ ও জলপথের মাধ্যমে সংযোগ তৈরি করবে।

প্রাচীনকালে এই বাণিজ্যিক পরিবহন রুট বা ব্যবস্থাকে স্পাইসরুট বলা হতো। আর বর্তমানে G-20 Summit-এ এই সিদ্ধান্তকে New Spice Route বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র রেলপথ ও জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাই নয়, যেখানে ওয়াটার কেবল নেটওয়ার্কও একটাই গ্রিডে পরিণত হবে। আর তার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতের পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে। এর ফলে দেশের কনজিউমার প্রোডাক্টস (Consumer Products) কম্পিউটার হার্ডওয়ার, টয় ইন্ডাস্ট্রি বা খেলনা, Handicrafts বা হস্তশিল্প, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বা বস্ত্র শিল্প যথেষ্টভাবে উপকৃত হতে পারে।

কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফে বলা হচ্ছে, এই নতুন ইকনমিক করিডর বাস্তবায়িত হলে চীনা পণ্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কিছুটা হলেও টেক্কা দেওয়া সম্ভব হবে। ইভিএম নিউজ 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর