প্রশাসনের অসহযোগিতা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন জাতীয় তপশিলী কমিশনের পর এবার কালিয়াগঞ্জে মৃতা নাবালিকা ও নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে গেলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসীদের প্রতিনিধি দল। শনিবার সন্ন্যাসীরা প্রথমে যান গাঙ্গুয়া এলাকায় মৃত দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর বাড়িতে সেখান থেকে রাধিকাপুরে চাকটা গ্রামে চান তারা। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবার কারোরই  দেখা মেলেনি সন্ন্যাসীরা।

উল্লেখ্য, গত ২১শে এপ্রিল কালীয়াগঞ্চ এর সাহেব ঘাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগে  এবং পুলিশ নাবালিকার মৃতদেহকে  টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে  গটা উত্তরবঙ্গ উপ্তও হয়ে উঠেছিল বিচারের আশায়। অন্যদিকে, গত ২৭ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চাদগা গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মনের অভিযোগ, পুলিশই তার ছেলেকে খুন করেছে। আর সেই খুনের ঘটনার তদন্তভার নিয়েছিল সিআইডি।পাশাপাশি, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর তরফেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগেরও তদন্ত করবে সিআইডি। শনিবারই কালিয়াগঞ্জ থানায় গিয়ে দুটি মামলার নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। এদিকে এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত হলেও গ্রামবাসীরা সেই তদন্তে ভরসা করতে পারছেন না। তারা সিবিআই তদন্ত দাবি করছেন।

এই প্রসঙ্গে,  স্বামী প্রদীপ্তানন্দজী বলেন, এই সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রনবানন্দজী তাঁর প্রথম জীবনে সমাজের পিছিয়ে পরা আদিবাসী, রাজবংশীদের উন্নয়নের অনেক কাজ করেছেন। সমাজের আজ চরম দুর্দিন। কিছুদিন আগে এইরকম মর্মান্তিক দুটো ঘটনা জানা মাত্রই আমাদেরকে কলকাতা সদর কার্যালয়ের সম্পাদক গ্রামে যেতে নির্দেশ দেন। সেই মতো আমরা আজ এই দুই নিহত পরিবারে আসেছি। (EVM News)

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর