রাজীব ঘোষ, ২৩ সেপ্টেম্বর: বেস্ট উইকেন্ড ট্যুর | অল্প খরচেই দীঘার ফিলিংস
উইকেন্ড বলুন বা ছোট অল্প দিনের কোনও ছুটি, প্রথমেই যে জায়গার কথা ঘুরতে যাওয়ার জন্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে, তা হল দীঘা। কলকাতার কাছেই অথচ সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি নেওয়ার জন্য মানুষ ছুটে চলে যান দীঘায়। আর এই খরচ বাজেট ফ্রেন্ডলি তো বটেই। তার সঙ্গে ছোট ছুটির ক্ষেত্রে একেবারেই উপযুক্ত। আর দীঘা ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে সবথেকে সেরা ডেস্টিনেশন (Tourist Destination) হয়ে উঠেছে।
ধীরে ধীরে সমুদ্র সৈকতের চেহারা বদলাচ্ছে। আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে দীঘা (Digha) তার ফলে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে। এই মুহূর্তে সিজন বলে আর দীঘায় কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। সারা বছরই সমান হারেই সিজন। মানুষ একটু ফুরসত পেলেই ছুটে চলে যাচ্ছে সমুদ্র সৈকতে। তবে এবার উইকেন্ডে জায়গা একটু বদল করতেই পারেন।
হাতের কাছেই ঘোরার জায়গা | খরচ মাত্র ৫ টাকা
এই জায়গাটিও খুব একটা দূরে নয়। সম্প্রতি অনেক পর্যটককেই দেখা যায়, দীঘা থেকে একটু অফবিট (Offbeat Tourist Place) জায়গার খোঁজ করেন। সেই কারণে অনেকেই মন্দারমনি বা তাজপুরের দিকে চলে যান। এবার ওই দিকে না গিয়ে উত্তরবঙ্গে গিয়ে দীঘার অনুভূতি নিতে পারেন। রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি।
দীঘার সমুদ্রের ঢেউ হয়তো পাবেন না। কিন্তু জলরাশির দিকে তাকালে সমস্ত ক্লান্তি এক নিমেষে দূরে চলে যাবে। আবার সজীব হয়ে উঠবেন। এবার হয়তো জানতে চাইছেন, জায়গাটি কোথায়?খুব বেশি দূরে নয়, পুরনো মালদহের যাত্রাডাঙ্গা ও সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যেই রয়েছে এই ভাটারার বিল (Bhatrar Bil) ইতিমধ্যেই এই নতুন Offbeat জায়গায় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। তবে যেহেতু এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ মানুষই এই জায়গা সম্বন্ধে জানেন না, তাই নিরিবিলিতে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
যদিও বছরের সারাটা সময় এই ভাটরার বিলে জল থাকে না। বর্ষার সময়ে আবার মোহময়ী হয়ে ওঠে। মহানন্দা, বেহুলা ও টাঙ্গন, এই তিনটি নদীর সঙ্গেই ভাটরার বিল যুক্ত হয়ে রয়েছে। বিলের পাশে বহু নাম না জানা বনফুল ফুটে রয়েছে। বর্ষার সময় এপার থেকে ওপার দেখা যায় না। করতে পারেন নৌকা বিহার। গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেখতে ভাটরার বিলের জলের বুকে নৌকায় করে বিলটা ঘুরেও দেখতে পারেন। সে এক দুর্দান্ত সুন্দর অভিজ্ঞতা। তাই হাতে দুটো দিন সময় থাকলে ঘুরে আসুন উত্তরবঙ্গের এই ‘মিনি দীঘা’য়। ইভিএম নিউজ