বিশ্ব

ব্যুরো নিউজ, ১৩ ডিসেম্বর: বিশ্বব্যাপি আর্থিক সঙ্কট কি মিটবে G 20-র ফলে? 

১৯৯৯ সালে পথ চলা শুরু করেছিল G 20 সম্মেলন। বিশ্বব্যাপি আর্থিক সঙ্কটের মোকাবিলা কীভাবে করা যায় তাঁর পথ অনুসন্ধান করাই ছিল এর লক্ষ্য। প্রায় ২ যুগ পরেও আর্থিক সঙ্কটের প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে। বরং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ ও বেপরোয়াভাবে যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োগ সেই প্রশ্নকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। ভারতে চলতি বছরে G 20 শীর্ষ সম্মেলনে থিম করা হয়েছিল ‘বাসুধৈব কুটুম্বকম’। উপনিষদে এর অর্থ করা হয়েছে এক পৃথিবী এক পরিবার ও এক ভবিষ্যৎ। দিল্লিতে এই সম্মেলন ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর এই দুই দিনের জন্য আয়োজিত হয়। আর তাই নিয়ে দিল্লীজুড়ে ছিল সাজোসাজো রব। নয়া দিল্লিতে বহু রাস্তা সাধারণের ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশি পাহারা ছিল চোখে পরার মতো। নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে ওই সম্মেলন আয়োজিত হয়। তবে বিজেপি জমানায় বদলেছে প্রগতি ময়দানের নাম। এখন তাকে বলা হয় ভারত মণ্ডপম্ ইন্টারন্যেশানাল এক্সজিবিশন কনভেনশন সেন্টার। 

অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ২০১৪ সালের পর থেকে সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি!

G 20 সম্মেলনে যে ২০ টি দেশ যোগ দেয় সেখানে মূলত দেশগুলির প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা প্রতিনিধিত্ব করেন। রাষ্ট্রপ্রধানকে যে আসতে হবে সম্মেলনে এমনটা নয়, তবে উচ্চ পদাধিকারীদের মধ্যে কেউ থাকেন।  ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়াও ১৯ টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারত, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইতালি, জাপান, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদিআরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, কানাডা, নাইজেরিয়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এছাড়া ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক মানিটারি ফান্ড, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক গ্রুপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অর্থাৎ ‘হু’, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংঘ, ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি বোর্ডের সদস্যদেরও উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তবে এবার দিল্লির ওই সম্মেলনে ১১ টি দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, কোমোরোসের প্রেসিডেন্ট আজালি অ্যাসউমানি, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফত্তাহ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জগনাথ, নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুতো, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যাঞ্জেজ, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লু, নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি বোলা আহমেদ তিনুবু, ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক, রোয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে।

এবারে G 20 সম্মেলনে চীনের বাড়বাড়ন্ত রুখতে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ভারতের ইকোনমিক করিডোর তৈরির উদ্যোগ বিশ্ব রাজনীতির অর্থনৈতিক মানচিত্রে যুগান্তর বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। মার্কিন হোয়াইট হাউসে বিবৃতি দিয়ে মউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে। এই করিডোরকে যার নাম ইন্ডিয়া-মিডিল ইস্ট ইউরোপ করিডোর বলা হয় তাঁর নাম বাইডেন দিয়েছেন ‘রিয়েলডিল’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্লোবাল বায়ো ফুয়েল এলাইন্সের যে ঘোষণা করেছে তাকেও সমর্থন জানিয়েছে ১৯ টি দেশ। আলোচনা হয়েছে ওয়ান ফ্যামিলি নিয়ে, যেখানে সভাপতি নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বিভেদ ঘোচাতে বার্তা দিয়েছে। আফ্রিকা ইউনিয়নের G 20-র ৫৫ টি সদস্য দেশের অনেকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন মোদী।  এছাড়াও সাস্তেনেবেল গ্রোথ নিয়ে গুরুত্ব-সহ আলোচনা হয়েছে। এজন্য উন্নত দেশগুলির সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশেরও সাহায্য প্রয়োজন। সম্মেলনে মোদী ‘সবকা সাথ সবকা প্রয়াস’- এর উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গ ওঠে যুদ্ধ বিরোধীনীতির কথাও। রাশিয়া- ইউক্রেন এবং প্যেলেস্তাইন ও ইজরায়েল যুদ্ধ যে কাম্য নয় তাও আলোচনা হয় বৈঠকে। প্রধানমন্ত্রী মোদী কোভিডকে পরাস্ত করে নান সঙ্কট থেকে মুক্তির কথা বলেন। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মার্কিন, ব্রিটেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গেও। তবে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান জিনপিং আসবেন বলে আশা করলেও তিনি আসেননি। আর তাতেই কিছুটা আশার সঙ্গে তৈরি হয়েছে আশঙ্কাও। কারণ, মধ্য প্রাচ্যে ও এশিয়ায় নানা সমস্যায় চীনা হস্তক্ষেপ, ভুটান সীমান্তের কাছে চীনের রাস্তা তৈরি এবং সত্যি ভারত-চীন ঠাণ্ডা লড়াই বন্ধ হবে কিনা সে প্রশ্ন রয়েই গেল। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর