ব্যুরো নিউজ, ১৬ অক্টোবর: বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে এক হাত শুভেন্দুর
আজ বিধানসভা অধিবেশনে বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিল আনে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শীঘ্রই রায়ের আশ্বাস সুপ্রিম আশ্বাস
সম কাজে সম বেতনের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা, তিনি বলেন, শূন্য কর্ম সংস্থানগুলো পুরন করুন, কলকাতা শহরের আনাচেকানাচে অনেকগুলো ধর্না চলছে বছরের পর বছর ধরে, আগে আলোচনা করে সেগুলোকে প্রত্যাহার করুন। যদি বিধায়কদের বেতন বারাতেই হয় আগে এইগুলো পূরণ করুন। তারপর বাড়ান।
এদিন উত্তরবঙ্গের চাবাগানের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ৩ দিনে ৩টে চা বাগান বন্ধ হয়ে গেছে তড়াই-ডুয়ার্সে, চোপড়া ইসলামপুর থেকে ভুটান বর্ডার পর্যন্ত ৬০০-র বেশি চা বাগান আছে। সেই একটাও চা বাগানের শ্রমিক এখনও বনাস পাননি।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, আজকে দ্বিতীয়া। বিধানসভা অধিবেশনের জন্য সমস্ত বিধায়কদের ডাকার কোনও মানে নেই। আমরা বিজেপির বিধায়করা বেতন বৃদ্ধি নিয়ে লালাইত নই। ডিসেম্বরে অধিবেশন ছিল। তখন এই বিলটি তুললেই হত। আজকের এই পুজোর দিনের ডাকার অর্থ কি?
সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে এই বিলটি তোলা হয়েছে বিধানসভা অধিবেশনে। রাজ্যপাল সম্মতি দেননি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেছি হাউসে। ওরা তো পালিয়ে গেছে, বিলটা তুলেই পালিয়ে গেছে তৃণমূলরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এগুলো। এ কোন উন্মাদের রাজ্যে বাস করছি? রাজ্য সরকারকে তিব্র কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।
রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূল কোনও দল নয়, এটা একটা কোম্পানি। আমিও ওই কোম্পানির কর্মচারী ছিলাম। সুব্রত বক্সীও কর্মচারী, তবে একটু আপারগ্রেডের। ভাইপো ও ভাইপো বাহিনীর ঠেলায় সুব্রত বক্সীর নিজেরই অস্তিত্বের সংকট। খাতায় কলমে সুব্রত বক্সী তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি, তাই তাঁর কাছে সারা দিনে যত জন নেতা বা বিধায়করা সারা দিনে ফোন করেন, তাঁর থেকেও কয়েক গুন বেশি ফোন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএ-র কাছে। প্রতিদিন ১২টা আইপিএস, ৫০ জন পুলিশ অফিসার ফোন করেন। এটা একটা কোম্পানি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কোম্পানির মালিক। ইভিএম নিউজ