বিতর্কিত

ব্যুরো নিউজ, ১ ডিসেম্বর: বিতর্কিত কিসিঞ্জার প্রয়াত

শত বর্ষে পা দিয়ে প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট মার্কিন কূটনীতিবিদ হেনরি কিসিঞ্জার। মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি যেমন শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন তেমনি বারবার জড়িয়েছিলেন বিতর্কে। ভারত -পাক যুদ্ধে তিনি পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। ফলে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময় তিনি ভারতের শত্রু বলেই পরিচিতি পান।

বিশ্বকাপে হেরে কান্না

স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম মানতে পারেননি কিসিঞ্জার। বাগ্মী ইন্দিরার কাছে কিসিঞ্জারকে তখন হার মানতে হয়েছিল। ওয়াটার গেট কেলেঙ্কারিতে পদত্যাগের পর মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সনকে তিনি সমর্থন করেন। ঠাণ্ডা লড়াই ও স্নায়ু যুদ্ধের সময়  নিক্সন-কিসিঞ্জার মিলে ইন্দিরা গান্ধিকে একঘরে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি।

যেসময় চীন- মার্কিন সম্পর্ক ছিল তিক্ত, সে সময় তিনি গোপনে চীন সফর করেন। তোলপাড় পড়ে যায় বিশ্ব রাজনীতিতে। বর্তমান চীনা রাষ্ট্রপ্রধান শি- জিনপিং-এর সঙ্গেও তিনি কয়েক বছর আগে দেখা করেন। একই সঙ্গে চিলিতে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া ও কম্বোডিয়ায় হামলা চালানোতেও তাঁর ভূমিকা ছিল। তাঁর চীন সফরের উদ্যেশ্য ছিল, পাকিস্তানকে উৎসাহিত করা। ভারত -পাক যুদ্ধে চীন নিরপেক্ষই ছিল। ভারত সম্পর্কে তিনি অবমাননাকর মন্তব্য করে ছিলেন।  ইন্দিরা গান্ধীকে তিনি ‘পুরনো ডাইনী’, মহিলা কুকুর বলে মন্তব্য করে ছিলেন। তবে তিনি মার্কিন- ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসানে ইতিবাচক ভূমিকা নেন। প্যারিসের চুক্তিতেও তাঁর ভূমিকা ছিল ইতিবাচক। পেয়েছিলেন শান্তি পুরস্কারও।

এই হেন কিসিঞ্জার শেষ দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর ভক্ত হয়ে পরেন। মোদীও পাল্টা কিসিঞ্জারের প্রশাংসায় ছিলেন পঞ্চমুখ। মোদী এক সময় বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কিসিঞ্জার ছিলেন প্রতিকৃত। আর তাতেই রে রে করে উঠেছিল সমালোচকরা। তারা বলেছিলেন, মোদীকে কেউ ইতিহাস স্মরণ করায়নি? এই হেন কিসিঞ্জার চলে যাওয়ায় অবশান হল এক যুগের। রয়ে গেল একরাশ বিতর্ক। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর