লাবনী চৌধুরী, ২৫ আগস্ট: বাংলা সিরিয়াল নিয়ে উষ্মা মমতার। “একজনের তিনবার বিয়ে, সঙ্গে কূটকাচালি।“
২৪ অগাস্ট আয়োজিত হয় এবছরের টেলি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। সেখানেই বাংলা সিরিয়াল প্রসঙ্গে একাধিক মন্তব্য প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় টেলি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মেগা সিরিয়াল নিয়ে তিনি বলেন, ছোট পর্দা দর্শকদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সিরিয়ালের চরিত্রগুলি হয়ে উঠেছে মানুষের নিজের অথবা পাশের বাড়ির সদস্য। তিনি আরও বলেন, “ আমি গর্ব করে বলতে পারি, বেশিরভাগ মানুষ খবর দেখে না, এইসব চ্যানেল দেখে। তারা জীবনের হারানো ঠিকানা এখান থেকেই খুঁজে পায়। আপনাদের দেখানো কিছু ভাল জিনিসের জন্য মানুষ ভাবে, আমাদের এরকম ভাল মানুষ হতে হবে। ভুল-ভ্রান্তি সবার মধ্যেই থাকে। কিছু কিছু অপরাধের দৃশ্যে লোকে আবার নকলও করে।”
“তাই আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, যেহেতু খারাপ জিনিস লোকে বেশি তাড়াতাড়ি গ্রহণ করে, কোনও অপরাধমূলক দৃশ্য দেখানোর পরে, কঠোর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারটা যদি আপনারা বিশেষভাবে দেখান, তাহলে প্রশাসনের জাগরণ হয়। পাশাপাশি আপনাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরাও অনেক কাজ করতে পারি।“
এই প্রসঙ্গে তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, “একজনের তিনবার বিয়ে হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটা কূটকাচালি থাকবেই। পজিটিভটাকে নেগেটিভ করে দিয়ে, সিরিয়ালটাকে বাড়িয়ে দেন। আর যদি কেউ চলে যায়, আপনারা তাকে মেরে দেন। এই সবই আমি বুঝতে পারি।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনাযায় ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘বাংলা মিডিয়াম’, ‘গুড্ডি’, ‘রামপ্রসাদ’, ‘গাঁটছড়া’, ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’-র মতো ধারাবাহিকের নাম। বিশেষভাবে প্রশংসা করলেন পর্দার রামপ্রসাদ অর্থাৎ সব্যসাচী চৌধুরীর।
প্রসঙ্গত বাংলা টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের সম্মান জানাতে, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস। এবছর মোট ৪১ ক্যাটাগরিতে ৪৬ জনকে সম্মান জানানো হয়। নিয়মিত পুরষ্কারের পাশাপাশি এবছর আজীবন স্বীকৃতি ও মরণোত্তর স্বীকৃতি দেওয়া হয় শিল্পীদের। ২০১২ সালে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ টেলি একাডেমি । ২০১৪ সালে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। ইভিএম নিউজ