চেষ্টা আর মেধার সংমিশ্রণ সব মানুষের মধ্যেই কম বেশি থাকে। কিন্তু গঠনমূলক কিছু করার জন্য চেষ্টা আর অদম্য মানশিকতার প্রয়োজন হয়। আর তার জোরেই একজন শীর্ষে পৌঁছতে সক্ষম হয়। এখানে গল্পটা বেশ আকর্ষণীয়। আটপৌরে একটি মেয়ের নাম সানা। সংসারের অনটন দৈনন্দিনের কিন্তু সানার মধ্যে শীর্ষে পৌঁছানো ওই অদম্য মানসিকতাটা ছিল। মধ্যপ্রদেশের বিদিশার বাসিন্দা সানা আলি। বাবা ছিলেন বাস চালক। সানা সংসারের সমস্ত ছবিটা দেখেও কঠিন মানসিকতার দৌড়টাকে কখনই থমকে জেতে দেননি। আর সবচেয়ে বড় অবলম্বন সানার বাবা মেয়ের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনও কসূর করেননি। সাংসারিক অনটনের মাঝেও মেয়ের পড়াশোনার স্টিয়ারিংটাকে সঠিকভাবে চালিত করেছেন। আর সেই পথেই সানা পৌঁছে গেছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোতে। সানার এই লম্বা দৌড়ে মেয়েকে সমস্ত বাঁধা বিঘ্ন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে অতিসন্তরপনে প্রতিনিয়ত উৎসাহ যুগিয়ে গিয়েছেন সানার মা। কখনও আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার করে আবার কখনও বা গয়না বিক্রি করে মেয়ের পড়াশোনার প্রয়োজনিয়তাকে পূরণ করেছেন।
সম্রাট অশোক টেকনিকাল ইন্সিটিউট থেকে সানা বি-টেক এবং এম-টেক ডিগ্রি শেষ করেন। এরপরেই সানার সতিশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে তাঁর যোগ দেওয়া। এর আগেই গোয়ালিয়র নিবাসী আক্রমের সঙ্গে বিয়ে হয় সানার যিনি একজন ইঞ্জিনিয়ারও। তবে বিয়ের পরেও সানার পড়াশোনা থেমে থাকেনি। এক্ষেত্রে সানা তাঁর শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা পেয়েছেন এবং তারপরেই তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়। সানার এই সাফল্য একদিনে আসেনি। দিনের পর দিন বিষয়টির সঙ্গে সানা সখ্য গড়েছেন। আর সেই কথা সানাও বলেছেন। সানা বলেন, লক্ষে পৌঁছতে হলে তার জন্য অধ্যবস্যায় থাকাটা একেবারে প্রাথমিক বিষয়। আর তার সঙ্গে মনের ক্ষিদেকে মিশিয়ে দিতে পারলে যেকোনো সাফল্যই আসতে পারে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর