শুভজিৎ দাস,দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ সরকার বলছে, রাজ্যে আরও দশ হাজার শিক্ষককে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। এদিকে একের পর এক সরকার স্কুল ছাত্রের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই বাস্তব তথ্য হাতে পেয়ে, কেন সেই স্কুলগুলির অনুমোদন বাতিল করা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এবার সেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে প্রকাশ্যে এলো এমনই আরেকটি মর্মান্তিক বাস্তব ছবি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের ধবলাট গ্রামপঞ্চায়েতের পুরুষোত্তমপুর মানবসেবা সদন এসএসকে স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা, খাতায় কলমে আপাতত জনা-বারোয় এসে ঠেকেছে। যদিও স্কুলে তিন,চার জনের বেশি হাজির হয় না। শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা মাত্র দু’জন। ২০০২ সালে শুরু হওয়া এই স্কুলটির, প্রথম থেকেই এহেন অবস্থা হলেও, কখনওই সরকার বা শিক্ষাদফতরের নজরে পড়েনি। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র আর শিক্ষকের এই করুণ সংখ্যায়, স্কুলটি আক্ষরিক অর্থেই বেহাল, আর পঠনপাঠনের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবকদের অভিযোগ,  স্কুলের লেখাপড়ার পরিবেশ ঠিকঠাক না থাকার কারণেই, ছেলেমেয়েদের শিক্ষা আর ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর নির্ভর করেন।

কেন দিন দিন স্কুলটির এমন বেহাল দশা হয়ে পড়ল? জিজ্ঞাসা করায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন, স্কুলটির একজন শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, এমন অনেক ছাত্রছাত্রীর নাম স্কুলের খাতায় রয়েছে, যাদের প্রত্যেকবছর নিয়মমাফিক সরকারি সংশাপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু কোনওদিনই সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রী স্কুলে আসে না। কারণ সকলেই পার্শ্ববর্তী রামকৃষ্ণ মিশনে ভর্তি হয়েছে।

ভোট এলেই শিক্ষায় সরকারি সাফল্য নিয়ে প্রচারের পারদ তুঙ্গে তুলে নিয়ে যায় রাজ্যের শাসকদল। চলে সবুজসাথী আর স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের গগনচুম্বী ঢক্কানিনাদ। অথচ বাস্তবে এমনই করুণ দশার ছবি, ধরা পড়ে বারবার। ঠিক যেমন ধরা পড়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুরুষোত্তমপুর মানব সেবাসদন এসএসকে স্কুলের এই বেহাল ছবি।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর