বকেয়া

ব্যুরো নিউজ, ১১ ডিসেম্বর: বকেয়া দিন, নয় গদি ছাড়ুন, মোদীকে হুঁশিয়ারি মমতার

উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  রবিবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্র সরকারকে 'হুঁশিয়ারি' দিয়ে বলেন, হয় বকেয়া টাকা দিন, নয়তো গদি ছাড়ুন। 
খেত মজুর নয়! জমির ধান কাটছেন খোদ বিধায়ক

রাজ্যের বকেয়া টাকা ও কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে আগামী ১৮ ডিসেম্ব দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আলিপুরদুয়ারের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে বকেয়া মেটাতে কেন্দ্র সরকারকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি গদি ছাড়ার প্রসঙ্গেও  সুর চড়ালেন।

আলিপুরদুয়ারের মানুষদের এদিন একাধিক সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার কাজও শুরু করেন। সেইসঙ্গে ঘোষণা করেন তাঁদের টাকাও দেওয়া হবে বাড়ি তৈরি করার জন্য। সেই অনুষ্ঠানের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী যেমন কেন্দ্র সরকারকে বকেয়া টাকা আটকে রাখা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তেমনই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানাও করেছেন।

এদিনের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি কথা দিয়ে কথা রাখে না। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি এখানে এসে সব বন্ধ চা বাগান খুলে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর কথা রাখেনি। আমরা যা কথা দিই তা রাখি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ফের আবার নাটক শুরু হবে। এদের বিশ্বাস করবেন না। কোভিডের সময় বিনামূল্যে কিছু রেশন দিয়েছিল। তারপর বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমরা বন্ধ করিনি। এটা আমাদের চলতে থাকবে। আমি চাই সকলে ভাল থাকুন।’

তারপরই কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা আমরা পাচ্ছি না। মানুষের জন্য বাড়ি আমরা যা তৈরি করেছি তার টাকাও দেয়নি। সব কর রাজ্য থেকে কেন্দ্র সরকার তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে সেই টাকা দিচ্ছে না। রাস্তা তৈরির  টাকাও আটকে রেখেছে।’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৮, ১৯, ২০ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছি। আশা করি প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় সময় দেবেন। আমার সঙ্গে বাংলার আরও কিছু সাংসদ যাবেন, তাঁরা বাংলার জন্য টাকা চাইবেন। ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা আমাদের পাওনা আছে কেন্দ্রের থেকে।  এই টাকা পেলে আমরা বাংলার মানুষের জন্য আরও কত কাজ করতে পারতাম।’

তবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আগেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল, যে টাকা আগে দেওয়া হয়েছে তার হিসাব দিতে হবে। সেই হিসাব না দিলে বকেয়া টাকা দেওয়া হবে না। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে, সেই পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব কি দিতে পারবে রাজ্য সরকার?  ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর