মেতে ওঠেন

রাজীব ঘোষ, ২২ অক্টোবর: পুজো রাজবাড়ীর | মেতে ওঠেন এলাকাবাসী

কামানের তোপধ্বনিতে হতো মা দুর্গার আহ্বান। ষষ্ঠীতে বাড়ির উঠোনে কামানের এই তোপধ্বনি হতো। আর তার মধ্য দিয়েই দেবী দুর্গার আহ্বান হতো। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এই রাজবাড়ীতে বলি দেওয়া হতো ১৪ টা পাঁঠা, দুটো ভেড়া, আখ এবং চালকুমড়ো। এই পুজো একেবারে প্রথম থেকেই জাকজমকপূর্ণ ছিল। জমিদার বাড়ির লাগোয়া প্রসন্নময়ী কালী মন্দিরে প্রতিপদ থেকেই শুরু হয়ে যেত ঘট পুজো।

পুজোর থিম সত‍্যজিৎ রায় | এবারও চমক মিলন সংঘের

আর দুর্গা দালানে থাকত দেবী মূর্তি। ১৭১১ সালে গোবরডাঙ্গার জমিদার বাড়িতে খেলারাম মুখোপাধ্যায় দুর্গাপূজা শুরু করেছিলেন। ৩১২ বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল। আজও গোবরডাঙ্গা রাজবাড়ীতে দেবী দুর্গা পুরনো রীতি মেনেই পূজিত হন।

একটা সময় বিরাট জৌলুস থাকলেও বর্তমানে সেই জৌলুস খানিকটা হলেও কমেছে। কিন্তু তাহলেও পুজোর আনন্দে কোনো ছেদ পড়েনি। গোবরডাঙ্গা রাজবাড়ীর পুজো জমিদারবাড়ির হলেও এলাকার সমস্ত মানুষ এই পুজোতে আনন্দে মেতে ওঠেন। এই পুজোয় একটা সময় ষষ্ঠীতে কামানের তোপধ্বনিতে মা দুর্গার আহ্বান করা হতো। সপ্তমীর সকালে ঘট নিয়ে দুর্গা দালানে আসা হতো।

বিসর্জনের সময় জমিদার বাড়ির উঠোনে সার দিয়ে ঢাকির দল ঢাক বাজাতো। পরিবারের সমস্ত সদস্য এবং এলাকার মানুষজন সিঁদুর খেলা শেষ হওয়ার পরে জমিদার বাড়ির ঝিলেই মা দুর্গা দেবীর নিরঞ্জন করা হতো।
এই প্রসঙ্গে গোবরডাঙ্গা রাজবাড়ীর বংশধর বলেন, করোনার কারণে মাঝখানে দুই বছর মূর্তি পুজো করা হয়নি। তবে নিয়ম মেনেই আবার শুরু হয়েছে পুজো। দুর্গা দালানে মায়ের মূর্তি তৈরি করে মায়ের পূজো করা হয়। আর বংশের পুরনো নিয়ম মেনেই মহালয়ার দিনে মায়ের গায়ে খড়ি রং দেওয়া হয়। পুজো রাজবাড়ির হলেও শুধুমাত্র গোবরডাঙ্গা জমিদার বাড়ির পরিবারের সদস্যরাই নন, এলাকার সমস্ত মানুষ এই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। ইভিএম নিউজ

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর